বাংলাদেশের রাজনীতিকে ফরমালিন মুক্ত করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রে বিভিন্ন দলের রাজনীতির মধ্যে ফরমালিন ঢুকে গেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে এবারে ফরমালিনমুক্ত রাজনীতি ও নির্বাচনের আন্দোলন হবে।
শুক্রবারে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনায় তিনি বলেন, দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা একটা জমিদারি ব্যবস্থা। তাই ছোট ছোট দলগুলো যেন প্রজা হিসেবে থাকে, তারা তা-ই চায়।
কিন্তু সময় পাল্টেছে। ইচ্ছা করলে কেউ নিজেদেরকে রাজা মনে করে জনগনের সম্পত্তির ওপর ভাগ বসাতে পারবে না, জনগণ তা হতে দিবেও না বলে মন্তব্য করেন গণফোরাম সভাপতি।
সাউথ এশিয়ান লইয়ার্স ফোরাম আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকতে রাজনীতিকে ফরমালিন মুক্ত করার ঘোষণা দিলেন ড. কামাল।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। এর ফলে জনগণের ভোটের অধিকারের সাথে সাথে অন্যান্য অধিকারগুলোও প্রতিষ্ঠা পাবে।
ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, মুসলিম লীগ ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে নিজেদের জমিদার মনে করতো। তারা টিকতে পারেনি। নুরুল আমিনকে তরুণ খালেদ নেওয়াজই দেখিয়ে দিয়েছে কারো অহংকার বা ক্ষমতার বাহাদুরী বেশিদিন টিকে না। আসল ক্ষমতা জনগনের হাতে।
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণ ক্ষমতার মালিক হতে পারবে না জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, সবাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর মানে কেবল জনগণ ভোট দিতে পারছে তা নয়, বরং কোন ব্যক্তিকে কিসের ভিত্তিতে ভোট দিচ্ছে, সেটা জেনে ভোট দেওয়া।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মুসা, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, দৈনিক সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ।