পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছিল বলে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান মঙ্গলবার কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করেছে। দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা এ তথ্য পেয়েছেন। ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়’ এমন বাক্যে গোলাম রহমান এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের তোলা দুর্নীতির অভিযোগেরও সত্যতা নিশ্চিত করেন। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের শাস্তি বাংলাদেশের আইনে আছে বলেও জানান তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই দেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে ফেরাতে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও সাবেক সেতু সচিব মোশারফ হোসেন ভূঁইয়াসহ মোট ২৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে প্রথমে এক মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে তার ছুটির বিষয়টি সরকারিভাবে আর পরিষ্কার করা হয়নি।