বার্তা৭১ডটকমঃ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংলাপে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির চিঠি কমিশন কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বৈঠকে কেন বসতে পারছি না তা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিবের চিঠি সিইসি ও সচিবকে দেয়া হয়েছে।’’
সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘ছলে বলে কৌশলে যে কোনোভাবে ক্ষমতা অাঁকড়ে ধরার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ একটি দলীয় সরকারের সীমাহীন ক্ষমতা ও প্রভাবের মুখে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক স্বাধীনতা যে কতো অর্থহীন তা পূর্বেকার কমিশন কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেছিল এবং পূর্বেকার কমিশনের কেউ কেউ এখনো তা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্টা হলে তারা জনগণের সমর্থন লাভে সক্ষম হবে।’’
‘‘জাতীয় সংসদের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পর্কিত উপরোল্লিখিত সমস্যা ও বিষয়সমূহ জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সমাধান করার চেষ্টা না করে শুধুমাত্র ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ বা নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের মতো আনুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না।’’
রোববার বিকাল ৩টায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সময় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর দুই দিন আগেই নিজেদের অবস্থান জানাল প্রধান বিরোধী দল।
অবশ্য আগে থেকেই বিএনপি বলে আসছে, বর্তমান কমিশনের সঙ্গে কোনো আলোচনায় তারা রাজি নয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বর্তমান কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়াও নিয়েও তাদের প্রশ্ন রয়েছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপে অংশ নেয়নি। এছাড়া ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনও সংলাপে যায়নি।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ইসির সংলাপে এলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিগত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো সংলাপে যায়নি বিরোধী দল।