ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন বোপার ছোবলে এ পর্যন্ত ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সামরিক বাহিনী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার ঘণ্টায় ১২১ কিলোমিটার বেগে এই ঝড়টি আঘাত হানে। দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে ঝড়টি প্রথম আঘাত হানে। পরবর্তীতে এটি অগ্রসর হয়ে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলেও ব্যাপক প্রাণহানি এবং ধ্বংসলীলা ঘটায়।বিশেষ করে পার্বত্য উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে টাইফুনের আঘাত ছিল সবচেয়ে প্রবল।
টাইফুনের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অনেক এলাকার সাথেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভুমিধসে আক্রান্ত বেশ কিছু এলাকার লোক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লোকদের কাছে পৌঁছাতে ত্রাণকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
ভূমিধসে মাটি চাপা পড়ে ৩শ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যানুয়েল রোক্সাস। গত এক দশকের মধ্যে মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বোপা।
টাইফুন বোপার কারণে গাছ-পালা উপড়ে গেছে, উড়ে গেছে ঘরের চাল। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঝড়ে উড়ে আসা বিভিন্ন জিনিসপত্র ও গাছ ভেঙে পড়ায় অনেকে আহত হয়েছেন। মিন্দানাওয়ে অন্তত সোয়া লাখ মানুষের ঘরবাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০১১ সালে দেশটির মিন্দানাও-এ টাইফুন ওয়াসির আঘাতে ১৫শ’ মানুষ নিহত হয়।
টাইফুন বোপার কারণে দেশটির ডজনেরও বেশি বিমানের ফ্লাইট ও মধ্যাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলে ফেরি চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। অঞ্চলটির স্কুল এবং কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এটি আঘাত হানার আগে মিন্দানাওয়ের উপকূলীয় এলাকার ৮৫ হাজারেরও বেশি অধিবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
মেঘযুক্ত টাইফুন বোপা পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এটি দক্ষিণ চীন সাগরে পৌঁছবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়।