ঢাকা, ০৩ নভেম্বর : যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানেন না। ’৭১-এর পরাজিত শক্তির পরাজয় তাকে ব্যথিত করে। তাই তিনি বিজয়ের আনন্দে জাতির সাথে একাত্মতা পোষণ না করে অবরোধ ও হরতালের ডাক দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, এ হরতাল কার জন্য? কাকে রক্ষার জন্য এবং কার বিরুদ্ধে এ কর্মসূচি?
তিনি বলেন, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক, যত আন্দোলন-সংগ্রামই করা হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করবোই করবো, এটা তরুণ প্রজন্মের কাছে আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের অঙ্গীকার আমরা বাস্তবায়ন করবো।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ীভিত্তিতে নির্মিত বিজয়মঞ্চের শুভ উদ্বোধন ঘোষণার আগের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাসব্যাপী বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং বরেণ্য বৃদ্ধিজীবীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বেগম জিয়া অন্তরে ব্যথা পেয়েছেন। উনি ’৭১-এর পরাজিত শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তাই ওনার অন্তরে ব্যথা।
’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে তারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান পাল্টে দিয়েছেন। সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের সামনে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করেছেন।
তিনি বলেন, সময় এসেছে। এদের রুখলে হবে না। প্রতিহত করতে হবে। এজন্য নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। যাতে তারা বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের রাজনীতিতে কোনো নাক গলানোর সুযোগ না পায়।
পরে তিনি বিজয়মঞ্চের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠনের পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার গান। সব শেষে প্রদর্শিত হয় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নির্দেশিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’।