পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশের আইনে অপরাধের ষড়যন্ত্র ও অপরাধ হওয়ায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। তিনি জানান, প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ জনের নাম রয়েছে। এসব ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান। তনি বলেন, দুর্নীতির ষড়যন্ত্র করা হলেও আর্থিক লেনদেন হয়নি। আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধান কমিটির অগ্রগতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখানে দুদক ও প্যানেল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। আলোচনায় উভয় পক্ষ একমত হয় যে, পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। যা অপরাধের শামিল। তবে এখনো আমরা অপরাধী চিহ্নিত করতে পারিনি। বুধবার আবার পর্যালোচনার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্যানেল দুদকে আসবেন। তবে সময় স্বল্পতার কারণে একটি খসড়া প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্যানেলের সঙ্গে দুদকের আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করেছি। তবে তাদের ও আমাদের আইন এক না হওয়ায় কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। বুধবারের আলোচনায় সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে বলেও তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, অনুসন্ধানকারী কমিটি একটি খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যেখানে ষড়যন্ত্রের জন্য মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে।