বার্তা৭১ডটকমঃ শুরুতেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন, ভাংচুর, টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তা অবরোধের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধোলাইপাড়ে লেগুনা ও সিএনজিসহ তিনটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে হরতালকারীরা। পিকেটাররা এ সময় ২০টি গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া কুতুবখালীতে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও শিবিরের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শিবির কর্মীরা সেখানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
ভোর সাড়ে ৭টার দিকে চিটাগাং রোডে হরতালকারীরা বাস ভাংচুর করে। যাত্রাবাড়ীতে সকালে একটি লেগুনাতে অগ্নিসংযোগ কর হয়। এ ছাড়া সেখানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ভোর সাড়ে ছয়টায় ফার্মগেটে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রদলের ছেলেরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সকাল ৭টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি একটি বাস ভাংচুর করে পিকেটাররা। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেয় পিকেটাররা।
হরতাল শুরুর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।
ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামে আগের রাতে অন্তত ১১টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রাজধানীর খিলগাঁও, গ্রিনরোড, ফার্মগেইট, নয়াবাজার ও মিরপুরে পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। গাজীপুর, সিলেট এবং চট্টগ্রামে আগুন দেয়া হয়েছে ছয়টি গাড়িতে।
এই গাড়িগুলোতে কারা আগুন দিয়েছে, তা নিশ্চিত করা যায়নি; তবে পুলিশ এজন্য দায়ী করছে হরতাল সমর্থকদের।
এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
রাত পৌনে ৯টায় ফার্মগেইটের আনন্দ গ্রেক্ষাগৃহের সামনে একটি মিনিবাসে আগুন লাগানো হয় বলে জানান অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ওই সময়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর ছাড়াও টঙ্গিতে তিনটি বাসে এবং গাজীপুরের শিববাড়িতে একটি বাসে আগুন দেয়া হয় বলে জানান জিয়া।