ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর : অবরোধে ভাংচুরের ২টি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য পুলিশের আবেদন ও ফখরুলের পক্ষে করা জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী হোসেন এ সংক্রান্ত মোট ৪টি আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা ফখরুলকে জেল হাজতে পাঠাতে নির্দেশ দেয়।
এদিকে আগামীকালের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মুক্তি না দিলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
এছাড়াও মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার উপজেলা-থানা ও পৌরসভা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ৭ দিন ও শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় ৭ দিন মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। বিকেলে এ সংক্রান্ত শুনানির পর আদালত দুই মামলাতেই রিমান্ড না-মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি দুই মামলাতেই মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন বিচারক।
রবিবার অবরোধ চলাকালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় কর্পোরেশনের ড্রাইভার মো. আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়া, শেরেবাংলা নগর থানায় বিষ্ফোরক আইনে পুলিশের দায়ের করা অন্য আরেকটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে মঙ্গলবার সকালে আটক দেখানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। রাতে তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়েই রাখা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার পর মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করানো হয়। এর আগে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গনে পাল্টাপাল্টি মিছিল করে সরকার ও বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা।