ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর: ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, বোমাবাজি আর সড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা ৮ ঘন্টার হরতাল পালিত হচ্ছে।
আমাদের প্রতিনিধি জানান, সকাল ৭ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে পুলিশের সামনে শিবিরের সংঘর্ষ হয়। রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
আজিমপুরে ৪টি ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ৪টি এবং মালিবাগে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পিকেটাররা। এছাড়া নিউমার্কেট এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা।
বাংলামটরে শিবির-পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় হরতাল সমর্থকরা ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে। মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ২টি গাড়িতে ভাংচুর করে পিকেটাররা।
হাজারীবাগে পুলিশ গাড়ি লক্ষ্য করে ইট -পাটকেল নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। এতে তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশ গুলি করলে এক পিকেটার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়।
সকাল পৌনে ৭ টার দিকে রাজধানীর কাটাবনে হরতাল সমর্থকরা বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এখানে ছাত্রদলের মিছিল পন্ড করে দেয় পুলিশ। এর আগে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের মাতুয়াইলে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টাও করে পিকেটাররা। বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বাসাবোতে শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। নয়াপল্টন ও নাইটেঙ্গল মোড়েও বোমা নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। সাড়ে সাতটার দিকে শাহবাগে সিএনজিতে আগুন দেন পিকেটাররা।
এদিকে বিএনপির কার্যালয়ে যথারীতি অবরুদ্ধ আছেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপির কার্যালয়ে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সাংসদ জয়নুল আবদীন ফারুক ও হারুনুর রশিদ বেশ কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে অবস্থান করছেন। এখানে অন্তত চার দফা ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।