ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর : জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ)। একই দাবিতে সারা দেশে হরতাল করছে গণতান্ত্রিক
ভোর থেকেই সিপিবি ও বাসদ কর্মীদের দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা গেছে।
এ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ বা গাড়ি ভাংচুরের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের সংখ্যাও বাড়ছে। রাস্তায় যান চলাচল তুলনামূলক কম।
৬টার দিকে পুরানা পল্টন সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং তোপখানা রোড বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দুটি মিছিল বের হয়। বাসদের একটি মিছিল পল্টন, দৈনিক বাংলা, প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
পল্টন থেকে প্রেসক্লাব হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত পুরো এলাকা রয়েছে সিপিবি ও বাসদ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে।
হরতালে রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। সিএনজি, লেগুনা ও রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এসব এলাকায় হরতাল সমর্থনে পিকেটিং কিংবা মিছিল কোনটিই দেখা যায় নি।
পুরান ঢাকার সদরঘাট, গুলিস্তান ও পল্টনে যান চলাচল কম।
হরতালের সমর্থনে এবং সফল করার আহ্বান জানিয়ে সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল করে সিপিবি-বাসদ।
সমাবেশে তোলা অন্য দাবিগুলো হলো- আশুলিয়ার তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের জন্য দায়ী মালিক পক্ষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান, গার্মেন্টসহ সব শিল্প-কারখানায় আইন অনুযায়ী কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ বিল, গাড়ি ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, সিপিবি-বাসদ গত ৭ ডিসেম্বর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন ও শাস্তি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে হরতাল ডাকে।