ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের নামে বৃহস্পতিবার হরতাল ডাকা হলেও এই মোর্চার আটটি দলই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই কর্মসূচিতে তারা নেই।
হরতালের আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় ওই বিবৃতি আসে। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের আহ্বায়ক মুহীউদ্দিন খানও রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সকলের সাথে পরামর্শ ব্যাতিরেকে আগামীকাল ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের নামে আহুত হরতালের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কারণ, এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।”
তবে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার সিপিবি ও বাসদসহ বামপন্থী দলগুলো যে হরতাল করেছে, তাদের দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিবৃতিদাতারা।
“ধর্মহীন রাজনীতি মানুষকে মূলত চরিত্রহীন ও অমানুষ করে। স্বাভাবিকভাবে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশে গতকাল যারা ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সরকার সমর্থিত হয়ে হরতাল করেছে, তাদের সাথে কোনো অবস্থাতেই অামরা একমত নই,” বলা হয় বিবৃতিতে।
হরতালের বিরোধিতা করে বিবৃতিদাতারা হলেন- মুহিউদ্দীন খান, মোর্চার যুগ্ম আহ্বায়ক ও খেলাফত মজলিশের আমির মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি আব্দুর রকিব ও মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নূরুল হক মজুমদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সভাপতি আব্দুল মোবিন, মহাসচিব এম এ রশিদ প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব আলমগীর মজুমদার এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক ও মহাসচিব হাশরত খান ভাসানী।
পুরান ঢাকার লালবাগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার হরতালের সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব জাফর উল্লাহ খান জানান, ইসলামী ও সমমনা ১২ দল এই হরতাল ডেকেছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল আমান চৌধুরী স্বাক্ষরিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ দলের হরতালের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে সিপিবি ও বাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর ডাকে মঙ্গলবার সারাদেশে সর্বাত্মক হরতালের পর জাফরউল্লাহ পাল্টা হরতালের ডাক দেন।
শুরুতেই হরতালের বিরোধিতা করে তিনটি দল বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ (ভাসানী) ও এনডিপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের (ওই তিনটি দল) নিয়েই ১২ দল গঠন করা হয়েছে। তারা হরতালে সমর্থন করছেন।”
পরে অবশ্য তিনটির সঙ্গে আরো পাঁচটি যোগ হয়ে আটটি দলের বিবৃতি আসে।