হরতালে সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত মঙ্গলবার প্রাথমিক শুনানি শেষে আরো শুনানির জন্য ৩ মে দিন নির্ধারণ করেছেন। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানা পুলিশ ১০ দিনের এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তেজগাঁও থানা পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চায়।
তেজগাঁও থানার আবেদনের প্রথমিক শুনানি করে মহানগর হাকিম হাসিবুল হক আরো শুনানির জন্য ৩ মে দিন নির্ধারণ করেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত নথিপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। শাহবাগ থানার আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে একই আদেশ দেন মহানগর হাকিম হাসিবুল হক। পরে দুই মামলাতেই রিজভীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জামিন শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে হাজির হয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহমিয়া মিয়া অর্ধশতাধিক আইনজীবী। রুহুল কবির রিজভীকে আদালতে হাজিরা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ প্রায় ২৫ জন।
এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে বিএনপির ডাকে টানা হরতাল শেষে সোমবার রাতে কাকরাইল মোড় থেকে রিজভীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বাংলাদেশ সচিবালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাড়ির গ্যারেজে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় তিনি ৩ নম্বর আসামি।
এছাড়া রোববারের হরতালে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় সোমবার বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। রোববার রাতে ও সোমবাওে দায়ের করা দুই মামলায় আসামি ৭২ জন।
এদিকে, সহিংসতার আশঙ্কায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।