বার্তা৭১ ডটকমঃ গত ৯ মাস যাবৎ পেয়ারা গাছে বসবাস করছেন র। গত বছর ভারতের বারানসির বড়গাঁয়ে থাকার সময় তারাকে বিয়ে করেন সঞ্জয়। এরপর নবদম্পতি মুম্বইয়ে চলে যান। গত মার্চে কাজ থেকে একটু আগেই বাড়ি ফেরেন সঞ্জয়। এক প্রতিবেশীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান তিনি। রাগে, দুঃখে আর অপমানে আরও বড় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন সঞ্জয়। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে এ ধরনের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন। স্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান সঞ্জয়। নানাভাবে স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি অভিমান নিয়েই গ্রামের একটি পেয়ারা গাছে বসবাস করতে শুরু করেন। সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরাও বারবার তারাকে বোঝাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ। প্রথমদিকে সঞ্জয় কোন খাবার খেতে চাননি। গাছের বিভিন্ন ডাল থেকে পেয়ারা খেয়েই দিন পার করছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই গাছের সব পেয়ারা ফুরিয়ে যায়। অগত্যা বাড়ি থেকে মায়ের এনে দেয়া খাবারের ওপর নির্ভর করতেই হয় তাকে। গাছেই ঘুমান সঞ্জয়। সেখানেই প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ সারেন। গত ৯ই মার্চ থেকে পেয়ারা গাছে বাস করছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে তার পণ থেকে সরে আসার কথা বললেই, সঞ্জয় আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। গ্রামবাসীদের কয়েকজন অবশ্য সঞ্জয়কে গাছ থেকে কয়েকবার নামতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। কেউ দেখছে কিনা তা দেখে নিয়ে কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়ান তিনি। যেই মনে করেন কাছেপিঠে কেউ এসে পড়েছে, অমনি আবার দ্রুত গাছে উঠে যান। কিন্তু এত কিছুর পরও পুলিশি সহায়তা চাওয়া হয়নি সঞ্জয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। কারণ তাতে করে সঞ্জয় মারাত্মক কোন পদক্ষেপ নিয়ে বসতে পারেন। সঞ্জয় যদি এভাবেই নিরাপদ থাকেন, তাতেই আপাতত সন্তুষ্ট পরিবারের সদস্যরা।