বার্তা৭১ ডটকমঃ দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসমূহের সংস্থা আসিয়ানের সংলাপে অংশীদার হতে এবং মেকং-গঙ্গা সহযোগিতার উদ্যোগে (এমজিসিআই) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই আসিয়ানের সফলতার প্রশংসা করে আসছে। আসিয়ান বৃহত্তর আঞ্চলিক সংহতিকে বাড়িয়ে তুলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে মিলিত হওয়ার পথে গঙ্গা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশকে এমজিসিআইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সফর দুই দেশের গতিশীল সম্পর্ককে আরো বেগবান করবে।
থাই প্রধানমন্ত্রী দু’দিনের সরকারি সফরে গতকাল ঢাকা এসে পৌঁছেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের, অ্যাম্বাসাডার এটলার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম ওয়াহিদুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট সচিব ও সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া থাইল্যান্ডের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে সেদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপঙ তোভিচাকচাইকুল, বাণিজ্যমন্ত্রী বুনসঙ তেরিয়াপিরম এবং বাণিজ্যমন্ত্রী প্রাসেরাত বুনসিচুক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। এছাড়া দুই দেশ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ও অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং সব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা দিন দিনই বেড়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে এর প্রতিফলন ঘটছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনসহ বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।