ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ,(বার্তা৭১ডটকম): খালেদা জিয়ার অতীত কর্মকান্ডের জন্য দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন ভারতে গিয়ে তোয়াজ করে আসলেই বিদেশী প্রভুরা তাকে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সমর্থন দিবেন । কিন্তু এতে কোন লাভ হবেনা। আপনাকে (খালেদা জিয়া) জনগণের কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় মঞ্চে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ক্ষমতায় আসতে হলে খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে ক্ষমতায় গেলে আর হাওয়া ভবন বানাবেন না, যুদ্ধাপরাধীদের আর আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন না, দেশকে আর বদ্ধভূমিতে পরিণত করবেন না।
ক্ষমা না চাইলে আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে উপযুক্ত জবাব দিবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যখন আমরা তাদের বিচার করছি, বিচারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হবে তখন বিচার চাওয়া শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, এর আগে আপনারা দুইবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেছেন। তখন তো বিচারের কাজ শুরু করেননি। তাদেরকে নিয়ে আপনারা মন্ত্রীসভা করেছিলেন। আর এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে বিচার চাইছেন।
বিএনপি নেতাদের দেশ পরিচালনায় অযোগ্য দাবি করে তিনি বলেন, জনগন বুঝতে পেরেছে কাদের কাছে দেশ নিরাপদ। কারণ বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকল নেতাদের কথাবার্তা আচার আচরণ পথশিশুদের মতো। তাই হুঙ্কার চিতকার দিয়ে লাভ হবে না।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি-মন্ত্রী এবং নেতাদের চোর-দূর্নীতিবাজ সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বিএনপি নেতাদের দেয়া বক্তব্যের চ্যলেঞ্জ করে হানিফ বলেন, ক্ষমতা গ্রহনের পর এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগের প্রমান হয়নি। বিএনপি যদি প্রমান করতে পারে তাহলে সাধারণ জনগন তাদের আদালতে যে বিচার করবে আমরা তা মাথা পেতে নেব।
তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীই নয় দলটির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে কি পরিমান দুর্নীতি করেছে তার প্রমান দেশী বিদেশী মহল অবগত। তাদের অপকর্মের জন্য শুধু দেশের আদালতেই না সিঙ্গাপুরের আদালতেও কারাদন্ড হয়েছে। এমনকি এফবিআই’র সদস্যরাও বেগম জিয়ার দুই পুত্র তারেক-কোকোর অপকর্মের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গেছেন।
আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার না অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে হবে এ বিষয়ে হানিফ বলেন, উচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত এবং সাংবিধান থেকে বাতিল কোনো বিষয় নিয়ে কারও সাথে কোনো আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, এর পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত অন্তবর্তী কালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে সংসদের ভেতর-বাইরে আলোচনার জন্য তাদের আমন্ত্রন জনিয়েছিলেন। সে জন্য বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে সংসদে আসতে অনুরোধ জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।