ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর (বার্তা৭১ডটকম) : পল্টন ও শেরে বাংলানগর থানায় করা আলাদা দুটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকার অবকাশকালীন মহানগর দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এ বিষয়ে আদেশ দেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ শতাধিক বিএনপিপন্থি আইনজীবী।
শুনানিতে বলা হয়, এ মামলায় যাকে বাদী করা হয়েছে এই নামের কোন লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। গাড়ির উল্লিখিত নম্বর সঠিক নয় এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা মিডিয়াতেও আসেনি। এতেই প্রমাণিত হয় এটি সাজানো ঘটনা। বাস্তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক হয়রানি এবং বিরোধী দলের দাবি অস্বীকার করে দমন করার জন্য এ আটক নাটক সাজানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর মামলা দুটিতে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া। একই আদালত সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। গত ১১ ডিসেম্বর এ দুই মামলায় জামিন ও রিমান্ড উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন রাজধানীর আলাদা দুই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
পল্টন থানার মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, মির্জা ফখরুল অবরোধের আগেই অবরোধের দিন (৯ ডিসেম্বর) রাস্তায় গাড়ি না বের করার আহ্বান জানান। বের করলে তা ভাঙচুর করারও হুমকি দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মির্জা ফখরুল ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জনের একটি মিছিল ১৮দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে সকাল ৭টায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ওই গাড়ির চালক ও মামলার বাদী আয়নাল এবং হেলপারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। এ মামলায় ফখরুল এক নম্বর আসামি।
এছাড়া শেরে বাংলানগর থানার পূর্ব রাজাবাজার পান্থপথের রাস্তায় অবরোধের দিন সকাল সাড়ে ৫টায় মির্জা ফখরুলের প্ররোচনায় দলের সদস্যরা একটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে বলে উল্লেখ করা হয়। এ মামলায় ফখরুল এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচ থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এ বছর তিনি দ্বিতীয় দফায় কারাবাসে আছেন।