বার্তা৭১ ডটকমঃ এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। তবে গড় পাসের হারের দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ডিআরভূক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, অনুপস্থিতির হার, জিপিএ-৫ পাওয়া এবং পাসের হারের ভিত্তিতে ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শীর্ষে রয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিকারুননিসানুন স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সারাদেশ ও বহিঃবাংলাদেশে একযোগে ২১ থেকে ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ৬টি বিষয়ে ছিল মোট ৬০০ নম্বর।
বিদেশে ৮টি কেন্দ্রসহ মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ১৭৬।
বিভিন্ন ধরনের ৯২ হাজার ৩২৮টি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর মোট ২৬ লাখ ৪১ হাজার ৯০৩ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার জন্য তালিকাভূক্ত (ডিআরভুক্ত) হয়। এর মধ্যে ১২ লাখ ৬ হাজার ৬৯৪ জন ছাত্র এবং ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ২০৯ জন ছাত্রী।
ডিআরভূক্ত ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে পরীক্ষায় মোট ২৪ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৫ জন।
এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার মোট ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৪১ জন সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩ জন এবং ছাত্রী ১৩ লাখ ১৭ হাজার ২৬৮ জন।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০ জন। জিপিএ-৪ থেকে ৫ এর নীচে পেয়েছে ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৩ জন। জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ এর নীচে পেয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৯০৭ জন। জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ এর নীচে পেয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৯ জন। জিপিএ-২ থেকে ৩ এর নীচে পেয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৮ জন।
এছাড়া জিপিএ-১ থেকে ২ এর নীচে পেয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৪ জন।
প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সংলগ্ন বিদ্যালয়ের পাসের হার সর্বোচ্চ ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
অন্যান্য বিদ্যালয়ের পাসের হার
ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয়ের ৯৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, কিন্ডারগার্টেন ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, নন রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৫ শতাংশ, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং আনন্দ স্কুল ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পাসের হার বিবেচনায় ৭ বিভাগের মধ্যে বরিশাল বিভাগ শীর্ষে রয়েছে। এ বিভাগে পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে লালমনিরহাট জেলা প্রথম। এ জেলায় পাসের হার শতভাগ। যশোর জেলা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
উপজেলা পর্যায়ে ৫০৫ উপজেলা/থানার মধ্যে ৩৯টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। আর পাসের হারের দিক থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে সিরাজগঞ্জ জেলা ৯১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলার পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
সারাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৫ হাজার ৫০২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৭৯২ জন এবং ছাত্রী ২ হাজার ৭১০ জন ডি আর ভুক্ত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪ হাজার ৯৭৯ ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৫০৯ এবং ২ হাজার ৪৭০ ছাত্রী। এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৭৯৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। এদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সারাদেশে ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৭৫১ জন ছাত্র-ছাত্রী ডিআর ভুক্ত হয়। এরমধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ৯১০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৭১৬ জন ছাত্রী। এবার পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে পাস করে ৪ হাজার ৫১১ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।