বার্তা৭১ডটকমঃ: পদ্মা সেতুতে শুধুই দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে এমন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের তদন্তে কেবল দুর্নীতির ষড়যন্ত্র বেরিয়ে এসেছে, এর বাইরে কিছু নয়। হলমার্ক, ডেসটিনি চারদলীয় জোট সরকারের আমলের প্রতিষ্ঠান। এদের বর্তমান সরকার বিচারের আওতায় এনেছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু ও বিদ্যুৎখাতে টাকা না দেয়ার পেছনে কাদের হাত তা আমাদের জানা। এসব খাতে আমরা দুর্নীতি করিনি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তবে আগামী শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত থাকায় মহানগর কাউন্সিলের কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ভোটিং পদ্ধতিতেও নেতা নির্বাচন হয়নি, দলীয় সভাপতির পছন্দ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে।
তবে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের উত্তর-দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ হবে কিনা এখন পর্যন্ত এ বিষয়টিও মীমাংসা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হয়নি।
বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বাঁচাতেও আপনি অনেক চেষ্টা করেছেন। রায়ের দিনে হরতাল ঘোষণা করেছিলেন। এখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।’
আওয়ামী লীগকে জনগণের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কখনোই সাপ না। আপনি নিজেই সাপ নিয়ে খেলায় মেতেছেন। সাপের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।
শেখ হাসিনার প্রশ্ন আওয়ামী লীগকে সাপ বললে যুদ্ধাপরাধীদের কি ফেরেস্তা বলবেন?
তিনি বলেন, আপনি দুইবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, তখন মানুষকে আপনি কতটা শান্তিতে রেখেছেন? একই সময়ে ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আলামত নষ্ট করে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছেন। এখন আবার যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারেন, মানুষের জীবন নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলেন, আপনাদের সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্য অনতিবিলম্বে ঢাকা মহানগরের সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানায় কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয় পথসভায় খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল। নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। দক্ষ সেনাবাহিনী গঠন করে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
কাউন্সিলে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং নগরের ১১৮ টি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং ২৪টি থানার সভাপতি ও সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। এ কাউন্সিলে তিন হাজার ডেলিগেট ও তিন হাজার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাউন্সিলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলে। ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের ব্যবস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।