বার্তা৭১ ডটকম : ইংরেজি নববর্ষ (থার্টি ফাস্ট নাইট) উদ্যাপনে অপরের বিরক্তির উদ্রেক না হয়ে চার দেয়ালের মধ্যে যার যার বাসায় নববর্ষের অনুষ্ঠান পালনের এবং বেআইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদ।
রবিবার দুুপুরে ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল, মিলি বিশ্বাস ও আব্দুল জলিলসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
কমিশনার জানান, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, আনন্দ উৎসব উদ্যাপনের নামেই কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। আনন্দের অতিশায্যে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে থাকে। এসব নৈতিক মূল্যবোধ পরপন্থি কর্মকান্ড স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়।
এ ধরনের কর্মকান্ড বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কারোধে ডিএমপির পক্ষ থেকে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, নির্দেশনাগুলির মধ্যে রয়েছে রাস্তার মোড় বা ফ্লাইওভারে কোনো ধরনের জমায়েত এবং আবাসিক হোটেল, রেস্তোঁরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি কেউ তা বহন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট পার্কিং এরিয়া ছাড়া অন্য কোথাও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। অননুমোদিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করলে তা আটক করা হবে। কূটনৈতিক এলাকায় (গুলশান-বনানী-বারিধারা) যারা বসবাস করেন তাদেরকে সন্ধ্যা ৭ টার পূর্বেই বাসায় যেতে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের তাদের স্ব স্ব পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখা মাত্রই তা পুলিশকে জানাতে এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পুলিশের সাহায্য নিতে ঢাকার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে যান চলাচল সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে হাইকোর্ট ও পলাশী মোড়কে ব্যবহার করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গুলশান-বনানিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাকলীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের সড়ক ব্যবহার করা যাবে। রাজধানীতে যান চলাচলে নির্দেশিকা সম্বলিত ট্রাফিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (নর্থ) ০১৭১৩৩৭৩২২৫, এডিসি (নর্থ) ০১৭১৩৩৭৩২২৬, এসি (গুলশান) ০১৭১৩৩৯৮৪৯৭, এসি (উত্তরা) ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮, ডিসি (গুলশান) ০১৭১৩৩৭৩১৬৬ ও ডিসি (উত্তরা) ০১৭১৩৩৭৩ ১৫৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ জানান তিনি ।