(বার্তা৭১ ডটকম) : মানবপ্রাচীর, বিক্ষোভ ও গণসংযোগসহ মাসব্যাপী অহিংস কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তবে সরকার যেদিন জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে তার পরের দিন হরতাল করবে ১৮ দলীয় জোট।
রবিবার রাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈঠক শেষে বিএনপির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে রাত নয়টায় এ বৈঠক শুরু হয়। পরে রাত পৌনে দশটায় বিএনপির সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম ৬ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর মৃত্যুতে শোক এবং ২৬ ডিসেম্বর দেশব্যাপি গণসংযোগ কর্মসূচি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করে সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জনদুর্ভোগ নিরসনে আগামী ৬ জানুয়ারি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ। ১১ জানুয়ারি (১/১১) কালো দিবস উপলক্ষে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কালো পতাকার মিছিল। ১৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম গুম, বিশ্বজিৎ দাস হত্যাসহ অন্যান্য অপহরণের প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মানবপ্রাচীর। গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ঢাকায় মানবপ্রাচীর গড়া হবে। ১৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে। ২৩ জানুয়ারি সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম, খুনের প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে হাট-বাজার, নৌবন্দরসহ সর্বত্র প্রচার পত্র বিলির মাধ্যমে গণসংযোগের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা হবে এবং ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ।
এছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো হলে তার পরের দিন হরতাল পালন করা হবে।
এই সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করা হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দেন বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম।
বৈঠকে বিএনপির সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, মহাসচিব শামীম আল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মো. ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অর.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীর বিক্রম, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান এডভোকেট গরীব নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, মহাসচিব হাসরত খান ভাসানী, ডেমোক্রিটিক লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী উপস্থিত ছিলেন।