ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর (বার্তা৭১ ডটকম) : ২০১২ সালটি পার হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক খাতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি নিয়ে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পরপরই ঘটে রেলপথে কালো বেড়ালের আত্মপ্রকাশ, হলমার্কের ঋণ জালিয়াতি, ডেসটিনি এবং ডুল্যান্সার অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার এবং পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল।
হলমার্কের ঋণ জালিয়াতি :
সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্রুপসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এ জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গোটা আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, ব্যাংকটির কর্মকর্তারা হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িত।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা এ কেলেঙ্কারির পেছনে দুটি কারণ শনাক্ত করেছেন। তাহলো রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অদক্ষতা। এ ঘটনার দায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় পর্যদও এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় চার হাজার কোটি টাকা ঋণকে ‘বেশি নয়’ মন্তব্য করায় অর্থমন্ত্রী কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগবিধিকে দায়ী করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ বার্তা ৭১ ডটকমকে বলেন, ব্যাংকিং খাতে এ রকম ধারাবাহিক নৈরাজ্য এর আগে কখনো হয়নি। আগে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটত, তাতে এত ভয়াবহতা ছিল না।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রথম দায় সংশ্লিষ্ট বোর্ডের। দ্বিতীয় দায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। কারণ তারা সঠিকভাবে মনিটরিং করেননি।
২০১০ এর জুন থেকে ২০১২-এর মার্চ পর্যন্ত সময়ে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এরপরই বেরিয়ে আসতে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী, জনতা, রূপালীসহ বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের খতিয়ান।
গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর জনতা ব্যাংকের ১৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির রেশ কাটার আগেই শুরু হয়ে যায় বিশেষায়িত রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে নয়া কেলেঙ্কারির আওয়াজ। হলমার্কের সঙ্গে টাকার তফাৎ সামান্যই। বেসিকের অঙ্ক ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
পারিবারিক প্রভাব-প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকিং আইনকে অমান্য করে লোপাট করা হয়েছে অর্থ। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই দেয়া হয়েছে বিশাল অঙ্কের ঋণ।
শেয়ার বাজারে লুটপাটে পথে বসল বিনিয়োগকারীরা
২০১০ সালে শুরু হয় পুঁজিবাজারে ধসের ঘটনা। ২০১২ সালেও এ বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। শেয়ারবাজারে ভয়াবহ এ কেলেঙ্কারির কারণে সর্বস্ব হারিয়ে ৬ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা ও ৩ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাজার দফায় দফায় পতনের শিকার হয়।
’৯৬ সালে যখন বাজার কেলেঙ্কারি ঘটে, তখনো এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। আবার ক্ষমতায় আসার পর একই ঘটনা ঘটল দেশের পুঁজিবাজারে।
বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। তারা বাজার কারসাজির সাথে যারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন। কিন্তু সরকার সে দাবির প্রতি কোনো ধরনের কর্ণপাত করছে না।
তবে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গেল ৩০ সেপ্টেম্বর কমিশনের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুদকের অনুসন্ধান দল অভিযুক্তদের জবানবন্দি নেবে।
পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি বাতিল করল বিশ্বব্যাংক
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের ব্যাপারে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
এতে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে ২৯১ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক।
এরপর সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগ, প্রকল্পের ইন্টেগ্রেটি অ্যাডভাইজর ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফহোসেন ভূঁইয়াকে ছুটিতে পাঠানো হয়।
বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করলে অন্য ঋণদাতা সংস্থা এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৬১ কোটি ৫০ লাখ, জাইকার ৪০ কোটি ও আইডিবির ১৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিও আটকে যায়।
তবে সরকারের অনুরোধে এডিবি ও জাইকা তাদের ঋণচুক্তির মেয়াদ দুই দফা বাড়ায়।
মন্ত্রিসভা থেকে আবুল হোসেনকে সরাতে সরকারের ওপর বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক চাপ ছিল। তাই গত ২৩ জুলাই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে তিনি পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরে বিজ্ঞাপন দেন।
বিশ্বব্যাংকের শর্তানুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক কৌঁসুলি লুই গ্রাবিয়েল মোরেনো ওকাম্পো ও তার সঙ্গী টিমোথি টং ও রিচার্ড অল্ডারম্যানের বিশেষজ্ঞ প্যানেল দেশে এসে দুদকের তদন্ত পর্যবেক্ষণ করেন।
তিন দিনের সফর শেষে তারা যাওয়ার সময় দুদককে বেশকিছু পরামর্শ দেন। এদিকে তদন্ত শুরুর পর দুদক দীর্ঘদিন দুর্নীতির কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ার কথা বললেও গত ২৭ নভেম্বর তদন্তকারী এ সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা প্রকল্পের কাজ পেতে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রে প্রমাণ পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী প্যানেল।
এর পর ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় দেশে আসে বিশ্বব্যাংকের প্যানেল। গত ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের তিন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন দুদক কর্মকর্তারা।
ওই বৈঠকের পর দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, দুর্নীতির ষড়যন্ত্র যে হয়েছিল, সে বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ও দুদক একমত হলেও কার কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে সে বিষয়ে মতৈক্য হয়নি।
শেষ পর্যন্ত মতৈক্য ছাড়াই ঢাকা ছাড়েন বিশ্বব্যাংকের প্যানেল।
এরপর ৮ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক সাফ জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না করা পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না বিশ্বব্যাংক।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে বাদ দিয়েই সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রাজধানীর বনানী থানায়।
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার অন্যতম দুই আসামি সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌসকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার আসামিরা হলেন সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় এজেন্ট মো. মোস্তফা এবং এর ৩ কর্মকর্তা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল।
দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলায় সন্দেহভাজন বলে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে রাখা হলেও এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানায়নি তদন্তকারী সংস্থা।
ডুল্যান্সার অর্থ আত্মসাতের পর পাচার :
এদিকে প্রায় একহাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডুল্যান্সার বিরুদ্ধে।
ডেসটিনির অর্থ আত্মসাতের পর পাচার :
এদিকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির বিরুদ্ধে।
ইতোমধ্যে কয়েকদফা ব্যবস্থা নেয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে সরকার কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে। ডেসটিনির অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য আরও পাঁচ সরকারি সংস্থাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
২০০৫ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে সমবায় অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিটি বলছে, সাত বছরে সোসাইটি এক হাজার ৪৪৮ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫২ টাকার আর্থিক অনিয়ম করেছে।
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধকের অনুমোদন না নিয়ে সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ, অনুমোদনহীনভাবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ঋণ বিতরণ ও সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনা, সম্পদের মূল্য বেশি দেখানো, বাজেটবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন বিভিন্ন ব্যয়ের মাধ্যমে এসব অনিয়ম করেছে সোসাইটি।
গত ১১ অক্টোবর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিচারক রফিকুল আমীনের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হারুন-অর-রশিদ হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। আদালতে রফিকুল আমীন অর্থ পাচারের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
রেলের কালো বিড়ালের আত্মপ্রকাশ :
গত ৯ এপ্রিল রাত ১১টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরে তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের টয়োটা গাড়িটি বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বিজিবির হাতে আটক হয়।
ওই সময় গাড়িতে ফারুকের সঙ্গে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা ও কমান্ড্যান্ট এনামুল হক ছিলেন। বছরজুড়ে এ রেলওয়েগেট কেলেঙ্কারি ছিল সবার মুখে মুখে।
কেলেঙ্কারির পর রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করেন বর্তমানে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি এপিএস ফারুককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। আর মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেলপথ কর্তৃপক্ষ।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার এবং পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের (বরখাস্ত) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
রাজধানীর রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ফারুকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুর রেজা ও মৃধার বিরুদ্ধে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল হাসান তরফদার।
দুদক সূত্র জানায়, ফারুকের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং মৃধার ৪০ লাখ ৯ হাজার ৯শ ১০ টাকা জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও দুদকের মামলায় এখন ওমর ফারুক তালুকদার জেলখানায় আছেন।
এ কেলেঙ্কারির অন্যতম আলোচিত এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।