ঢাকা, ২ জানুয়ারি,বার্তা৭১ ডটকমঃ আজ বুধবার খুলে দেওয়া হবে রাজধানীতে বহুল কাঙ্ক্ষিত হাতিরঝিল প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করবেন।
বর্তমান সরকারের আমলে রাজধানীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ।
এ ব্যাপারে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা বলেছেন,বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত জনকল্যাণমূলক সব প্রকল্পের মধ্যে সরকারের অগ্রধিকার ভিত্তিতে নির্মিত হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পটি নান্দনিকতায় অন্যতম।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বৃষ্টি বন্যাজনিত পানি ধারণ ও বৃষ্টির পানি ও পয়:নিস্কাশন ও নগর নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। শুধু তাই নয় সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনর্মিত এই প্রকল্পটি উদ্বোধন করবে।
মতিঝিলের নগর ভবনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে চেয়ারম্যান এ সব তথ্য জানান।
চেয়াম্যান নূরুল হুদা প্রকল্পটি তৈরীর পূর্বের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩০২ একর ভূমির প্রয়োজন হয়েছে। এই ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে ৭৮টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত অবমাননার আরো বেশ কয়টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দফায় দফায় বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়ায় এবং বাস্তব প্রয়োজনে কিছু নতুন অঙ্গের অর্ন্তভূক্তির জন্য প্রায় এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা একনেকের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। প্রাক্কলিত ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ শতকার ৫৩ দশমিক ১৫ ভাগ অর্থাৎ এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা জমি অধি গ্রহণে ব্যয় হয়। এ কারণে প্রাক্কালনে প্রস্তাবিত অবকাঠামোগত ব্যয় সমগ্র প্রকল্পে ৪৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ ।
তিনি বলেন, বাস্তাবায়িত প্রকল্পটির মাধ্যমে সার্বিক ভাবে ৬টি উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর জন্য পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ রক্ষাকারী একটি নগর মহাসড়ক বাস্তবায়ন, বেগুন-বাড়ী-হাতিরঝিল লেকের উভয় পাশে নির্মিত সার্ভিস রোডের সাথে স্থানীয় রাস্তার সড়ক স্থাপন, খালগুলোর জন্য প্রস্তাবিত সুবিশাল লেকটি একটি নিয়ন্ত্রিত হাইড্রোলিক সিষ্টেম হিসাবে কার্যকর,এতে এ এলাকার ড্রেনেজ ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, ও সৌ›ন্দর্য মন্ডিত পাবলিক স্পেসের ক্ষেত্র প্রস্তুত, রমনার পাশাপাশি একটি সুবিশাল নীল জলাধার বিশিষ্ট উন্মুক্ত স্থানের অভাব লাঘব হয়েছে যা বিশ্বের কাছে এই মহানগরীর গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত লেকের কারণে সংরক্ষিত পানির দ্ধারা ভূ-গর্ভস্থ জলাধারের রিচার্জ করা সম্বব হবে এবং একটি আধুনিক পয়:নিষ্কাশন নেট ওয়ার্ক, পয়:বর্জ্য অপসারণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।