ঢাকা,বার্তা৭১ ডটকমঃ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘গত চার বছরে বর্তমান সরকারের সফলতা রয়েছে। তবে গুম-খুন, মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন ও দুর্নীতির নীচে তা চাপা পড়ে গেছে। সরকারের সফলতা খুঁজতে এখন মাইক্রোস্কোপ (অণুবীক্ষণ) লাগবে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৮ দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হরতাল শতভাগ সফল হয়েছে দাবি করে তিনি ১৮ দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
হরতালে এ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে সাড়ে তিনশর অধিক গ্রেপ্তার এবং চারশর অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে এ সময় তিনি দাবি করেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ হরতালকে কেন্দ্র করে আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তির দাবি জানান তরিকুল।
এদিকে ঢাকা মহানগর বিএনপির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজুমদারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনমতকে শ্রদ্ধা করলে একতরফা সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করতো না। প্রবল আন্দোলনের ধূলিঝড়ে এই হঠকারী ও অবিমৃশ্যকারী সরকারের পতন ঘটাতে পারলেই জনগণের মৌলিক অধিকার ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ককটেলের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছে। অথচ বিএনপি দিয়েছে মাত্র ২০ দিন। আমরা বাধ্য হয়ে হরতাল দিচ্ছি, বাধ্য হলে ভবিষ্যতেও দেব। মহাত্মাগান্ধী দিয়েছেন, নেলসন মেন্ডেলাও হরতাল দিয়েছেন, আমরাও দেব। এছাড়া কোনো পথ নেই।’
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক জোটের যে অনানুষ্ঠানিক সংলাপের বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি না, আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন অনানুষ্ঠানিক সংলাপ ষড়যন্ত্র।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশরাফি আসফিয়া পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, রেহেনা আক্তার রানু, নীলুফার চৌধুরী মনি, রাশেদা আক্তার হীরা প্রমুখ।