বার্তা৭১ ডটকমঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদার পদত্যাগপ্রত্র জমা দিলেও তা গৃহীত হয়নি। তবে গৃহায়ণ সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন তার এই পদত্যাগকে সংবাদ মাধ্যমের গুজব হিসাবে উড়িয়ে দিয়েছেন। গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।
সোমবার সকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের যে বিষয়টি এসেছে তা স্রেফ গুজব। তবে সচিবালয়ে রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার সচিবালয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রবিবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। চিকিৎসক আমাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।
পদত্যাগপত্র নিয়ে সচিবের বক্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, সচিব মহোদয় হয়তো পদত্যাগপত্রটি হাতে পায়নি।
তিনি বলেন, সরকার দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিলে সেক্ষেত্রে আমি কাজ চালিয়ে যাবো। চলতি কাজগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আগে গৃহায়ণ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, রাজউক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিষয়টি স্রেফ গুজব। এটা তার বিরুদ্ধে দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি তার প্রয়োজনে সচিবালয়ে এসেছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজউক চেয়ারম্যান সচিবালয়ে যান। গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা হাতিরঝিল প্রকল্প পরিদর্শনে যান।
এ বিষয়ে আবদুল মান্নান খান বলেছেন, চেয়ারম্যানের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী মার্চ পর্যন্ত। বাকি সময়টা একসঙ্গে কাজ করব। প্রয়োজনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।
অত্যধিক কাজের চাপের কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে নূরুল হুদা পদত্যাগ করেছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বেশ কিছুদিন ধরেই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান নূরুল হুদার টানাপড়েন চলছিল।