বার্তা৭১ ডটকমঃ স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। ওয়ানডেতে বাংলাওয়াশের পাশাপাশি একমাত্র টি টুয়েন্টিতেও হেরেছে তারা। এবার টাইগারদের সামনে টেস্ট সিরিজের চ্যালেঞ্জ। হাফিজ-মিসবাহদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লড়াই এবার পাঁচদিনের।
টেস্টে র্যাংকিংয়েও বেশ ওপরে পাকিস্তান, অবস্থান চতুর্থ। অপরদিকে বাংলাদেশ রয়েছে নবম স্থানে। তবে লড়াইটা যে মোটেও অসম হবে না, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। আর পরিসংখ্যন তো বরাবরই পাকিস্তানের পক্ষে। তবে এবার তাদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের আক্ষেপও দূর করে ফেলার মঞ্চ তৈরি করে রেখেছেন টাইগাররা।
মঙ্গলবার খুলনায় দুই দেশের মধ্যকার প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০ টায়। বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টেলিভিশন, স্টার স্পোর্টস ওয়ান খেলাটি সরাসারি সম্প্রচার করবে।
টেস্ট ম্যাচের আগে শক্তিশালী পাকিস্তানকে পরিষ্কারভাবে ফেবারিট বলতে সাহস পাচ্ছেন না স্বয়ং পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা দলটিকে নবম স্থানে থাকা দলটির বিপক্ষে এগিয়ে রাখতে না পারার কারণটাও পরিষ্কার, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স।
অপরদিকে টাইগারদের রয়েছে টানা চার ম্যাচ জয়ের টগবগে আত্মবিশ্বাস। দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই রয়েছেন দারুণ ফর্মে। তবে স্বাগতিকরাই এ ম্যাচে ফেবারিট। এটা অবশ্য টাইগার ক্রিকেটাররাও দাবি করেননি। তবে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আশা তাদের প্রবল।
পাকিস্তানের টেস্ট দলটি এই সফরের ওয়ানডে দলের থেকে বেশ অভিজ্ঞ। দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন, যারা যে কোনো দলের বিপক্ষে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। মোহাম্মদ হাফিজ, ইউনুস খান আর অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক হতে পারেন পাকিস্তানের ভরসা।
ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র অধিনায়ক আজহার আলীর ব্যাটই হেসেছে। তরুণ এই ব্যাটসম্যানও আছেন পাকিস্তানের এই দলে। বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ভয় পাওয়ানোর যোগ্যতা যে ওয়াহাব রিয়াজের আছে, সেটাও দেখিয়েছেন তিনি। আর টেস্টেই স্বরূপে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাইদ আজমলও।
তবে পাল্লা দেওয়ার শক্তি বাংলাদেশেরও কম নেই। আশার কথা হচ্ছে টানা তিন ম্যাচেই হেসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট। আর বাংলাদেশের টেস্টের আদর্শ ব্যাটসম্যান বলা হয় মমিনুল হককে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও হয়ে উঠেছেন নির্ভরতার প্রতীক আর রান মেশিন। তবে বাংলাদেশের আরেক বড় ভরসার নাম সাকিব আল হাসান।
ওয়ানডেতে ব্যাট করার সুযোগ পেলেন খুবই কম। এবার টেস্টে সেটা উসুল করতে চান। যার কিছুটা দেখিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। ওয়ানডেতে ওপেন করলেও টেস্টে সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপ থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকা সৌম্য সরকারকে। বোলিংয়েও টাইগারদের বড় ভরসা সাকিব। পেস বোলিংয়ে রুবেল হোসেনের সঙ্গে দায়িত্ব নিতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করা মো. শহীদ। এসব হিসাব বলছে লড়াইটা আসলেই হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে।
পরিসংখ্যানের একটা হিসাব অবশ্য বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের খতিয়ানটা যে শূন্য। এর মধ্যে আছে ২০০৩ সালের মূলতান টেস্টের কান্না জড়ানো হারও।
তবে এসব পরিসংখ্যন যে কোনো কাজেরই না, সেটা এই সিরিজে টাইগাররা বেশ ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন।