বার্তা৭১ ডটকমঃ সুন্দর হাসি কে না হাসতে চায়। আর হাসলেই তো বের হবে দাঁতগুলো। সুন্দর ঝকঝকে দাঁত সবারই প্রত্যাশা। তাছাড়া একজন মানুষের ব্যক্তিত্বে দাঁত আলাদা মাত্রা যুক্ত করে। তবে অনেক যত্ন নেওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ঝকঝকেভাব নষ্ট হয়ে দাঁত হলদেটে হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, দাঁতের হলদেভাবের জন্য দায়ী হতে পারে রঙিন খাবার ও পানীয়। তবে মূল সমস্যা রংয়ে নয় বরং এতে থাকা বিভিন্ন অ্যাসিডজাতীয় উপাদানের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। তাই দাঁত ঝকঝকে রাখতে হলে এড়িয়ে চলতে হবে কয়েকটি খাবার।
রঙিন কোমল পানীয়
কোমল পানীয় এসিডিক এবং গাঢ় রংয়ের হয়। এতে থাকা সিট্রিক অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা দাঁতের পচন ধরায়। আর এতে দাঁতের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।
চা ও কফি
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস থেকে চা, কফি বাদ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে এই পানীয়গুলো গাঢ় রংয়ের এবং অ্যাসিডিক, যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কফির ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে দুধ বা কফিক্রিম মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর চায়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে গ্রিন টি বা ভেষজ চা খেতে পারেন।
টমেটো সস
টমেটোজাত খাবারগুলো থেকেও দাঁত হলদে হয়ে যেতে পারে। কারণ টমেটোতেও প্রচুর অ্যাসিডিক উপাদান থাকে এবং এটি গাঢ় লাল রংয়ের। টমেটোজাত খাবার খাওয়ার আগে ব্রোকলি খেলে তা দাঁতের উপর নিরাপত্তা প্রলেপ হিসেবে কাজ করবে।
ফলের রস
প্যাকেটজাত ফলের রসও দাঁতের রং নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী, বিশেষত যেগুলো গাঢ় রংয়ের ‘জুস’। এক্ষেত্রে তাজা ফলের রস বা পাতলা করে বানানো রস খেতে পারেন।
রঙিন ক্যান্ডি
রঙিন ক্যান্ডি, আইসক্রিম, চুয়িংগাম সবগুলোতেই থাকে কালারেন্টস নামক একটি উপাদান। যা দাঁতের রং নষ্ট করে ফেলতে পারে। এর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে ভ্যানিলা বা লেমন ফ্লেভারযুক্ত হালকা রংয়ের কিংবা সুগার ফ্রি ক্যান্ডি, আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে।
সয়া সস ও ভিনিগার
গাঢ় রংযুক্ত সয়া সস ও ভিনিগারে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে যা দাঁতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে হালকা রংয়ের রাইস ভিনিগার ব্যবহার করা যেতে পারে।
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত তরকারি
ঝাল ও মসলাযুক্ত তরকারী খেতে সুস্বাদু হলেও অতিরিক্ত মসলা দাঁতে হলদেভাব তৈরি করে। এসমস্যা এড়াতে খাওয়ার পর ব্রাশ করে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করে ফেলা উচিত।
বিট
বিটের রং বেশ স্থায়ী হয়। কাপড় রং করতে অনেকসময় বিট ব্যবহার করা হয়। তাই বিট খাওয়ার ফলে দাঁতও হলদে হয়ে যেতে পারে। বিটের রস এড়িয়ে চলতে হবে আর খেলেও খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করে ফেলা উচিত।