বার্তা৭১ ডটকমঃ আন্দামান সাগরে এক সপ্তাহ ধরে ভেসে থাকা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসী একটি নৌকায় খাবার ও পানির অভাবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে মূত্র পান করে পানির তৃষ্ণা মিটাচ্ছে। খবর বিবিসির।
৩৫০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই এ মাছ ধরা নৌকাটিকে থাইল্যান্ডে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
নৌকার যাত্রীরা বলেছে, ক্রুরা তাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে এবং ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। মৃত যাত্রীদের লাশ সাগরে ফেলে দিয়েছে তারা।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড অভিবাসী বোঝাই নৌকাগুলোকে সাগরে ফিরিয়ে দিচ্ছে। থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়া উপকূলে আরো হাজার হাজার অভিবাসী নৌকায় ভাসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ সমস্ত নৌকায় আছে বহু নারী ও শিশু। তাদের রবশিরভাগই বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীর দেশেও ফেরার কোনো পথ নেই।
সমুদ্রে ভেসে থাকা অসহায় এসব মানুষের অবস্থা সচক্ষে দেখতে যাওয়া বিবিসি’র এক সংবাদদাতা তাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন।
তিনি জানান, পুরোনো আমলের নৌকাটি পুরোপুরি মানুষে ঠাসা। আছে বহু নারী ও শিশু। তারা সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আছে। খাবার, পানির জন্য হাহাকার করছে। অনেকেই নিজের মূত্র পান করছে।
সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার জন্য কম্বলের সঙ্গে কম্বল গিট দিয়ে কোনোরকমে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকার সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অভিবাসীদের ৫০ জন নারী এবং ৮৪ জন শিশু। তারা তিনমাস ধরে সমুদ্রে ভাসছে বলে জানিয়েছে। ছয়দিন আগে ক্রুরা থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নোঙর করে নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল করে দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার রাতে থাই মাছ ধরার নৌকাগুলো রোহিঙ্গা বোঝাই এ নৌকাটিকে খুঁজে পায়। পরে এটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় মালয়েশিয়ার জলসীমায়। সেখান থেকে নৌকাটিকে আবার ঠেলে পাঠানো হয় থাইল্যান্ডের জলসীমায়।