বার্তা৭১ ডটকমঃ দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে কার্যালয় পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু)। গত সপ্তাহের বুধবার রাবি প্রশাসন থেকে এক লিখিত চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০১ নাম্বার রুমটি লিখিত ভাবে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে শনিবার দুপুর দেড়টায় রাবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সাথে বিশেষ সাক্ষাত করেছে ইউনিটির সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শামীম রাহমান, সহ-সভা পতি ফাহমিদ সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক আলী রমজান, সহ-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ কায়কোবাদ আল-মামুন খান, দপ্তর সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ী, সদস্য জাকির হোসেন তমাল, আলী হুসাইন মিঠু, ফারুখ খান, রাইসা জান্নাত, গোলাম মোস্তফা, অধরা মাধুরী পরমা, মাহফুজ মুন্না, নুর হোসেন, হৃদয় খান, মোর্শেদা মুন্নি, নাসরিন খাতুন, শিহাবুল ইসলাম প্রমুখ।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের এতদিন কোন স্থায়ী অবস্থান ছিল না। এখন তাদের একটি স্থায়ী ঠিকানা হলো। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। আমি নিজ অবস্থান থেকে সর্বদা তাদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করি। এখন থেকে আশা করবো তারা আরো ভালো কাজ উপহার দেবে। এছাড়া তিনি এ সংগঠনের জন্য শুভকামনা জানান।
উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. শামীম রাহমান বলেন, আমরা সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। এবং সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। কার্যালয় পাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের আন্তরিকতায় আজ আমরা স্থায়ী কার্যালয় পেয়েছি। বিশেষ করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে উপাচার্য মহোদয় আমাদের উৎসাহিত করে থাকেন। কার্যালয়ের ব্যাপারেও তার আন্তরিকতার কমতি ছিল না। এজন্য রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে স্যারকে এবং রাবি প্রশাসনকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি তাকে এভাবে সবসময় আমাদের পাশে পাবো।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছিল । কিন্তু স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় সংগঠনটির কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের এ কার্যালয় বরাদ্দ দেওয়া হলো।