বার্তা৭১ ডটকমঃ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জবানবন্দি বাতিল করে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
এ সময় খালেদার পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাগীব রউফ চৌধুরী ও মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “বিচারিক আদালতের আদেশে হাই কোর্ট অবৈধ কিছু পাননি। আমরা অবশ্যই আপিল করব।”
খুরশীদ আলম খান বলেন, “আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর ফলে জবানবন্দি যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, খালেদা জিয়া এ মামলায় বাদীকে জেরা করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন।”
বিচারিক আদালতে আইন অনুসারে এ মামলা চলবে জানিয়ে দুদকের আইনজীবী বলেন, “এ ধরনের আবেদন করার আইনগত এখতিয়ার নেই বলেই হাই কোর্ট তা খারিজ করেছে।”
ওই মামলার প্রথম সাক্ষী হিসাবে দুদক কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা বাতিল ও নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জুন হাই কোর্টে ‘ফৌজদারি রিভিশন’ আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
আবেদনের ওপর গত সপ্তাহে শুনানি হয়। ২৫ জুন দুইপক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৯ জুন আদেশের দিন ধার্য করে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছর ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়।
বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও জামিনে থাকা খালেদা নির্ধারিত দিনে আদালতে না আসায় পাঁচ দিন তার অনুপস্থিতিতেই বাদীর সাক্ষ্য শোনে আদালত। সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই খালেদার উপস্থিতিতে শুনানির পর বিচারক বাদীকে আসামিপক্ষের জেরার জন্য আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী দিন রেখেছে।
আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠে বিশেষ এজলাসে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানি চলছে। এর মধ্যে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জবানবন্দি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়।
ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তার বৈধতা ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে তার আবেদনগুলো আপিলেও খারিজ হয়ে যায়।