বার্তা৭১ ডটকমঃ বাংলাদেশকে নিম্নআয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশ সময় বুধবার মধ্য রাতে এ স্বীকৃতি দেয় আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটেও বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ (ইনকাম লেভেল : লোয়ার মিডল ইনকাম) হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের নিরিখে স্টাটাসের এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তানও নিম্নআয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এই দেশগুলোর মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ হাজার ২৪ ডলার থেকে ৪ হাজার ১২৫ ডলার বলে সংস্থাটির হিসাব।
সংস্থাটির সূচকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে মঙ্গোলিয়া ও প্যারাগুয়ে। তাদের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ১২৬ ডলার থেকে ১২ হাজার ৭৩৫ ডলার। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ১৩ ধাপ এগিয়েছে মালদ্বীপ, তারপরই ৮ ধাপ অগ্রগতি ঘটেছে মঙ্গোলিয়ার। মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে সূচকে সবচেয়ে নিচের দেশটি হলো মালাবি। তাদের মাথাপিছু আয় ২৫০ ডলার। আর মাথাপিছু ১ লাখ ডলার নিয়ে সবার উপরে আছে ইউরোপের ছোট্ট দেশ মোনাকো।
বিশ্ব ব্যাংক সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, সেসেলেস ও ভেনেজুয়েলাকে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশের কাতারে নিয়েছে। তাদের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলারের বেশি।
বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯৬ ডলার। জিডিপির পরিমাণ ১৭৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৮৫ লাখ।
এ ছাড়া স্কুলে যাওয়া, কার্বন নিঃসরণ কমানো, শিশুমৃত্যুর হার, দারিদ্রতার হার, জীবনযাত্রার ব্যয় ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অগ্রগতির রেখাচিত্র তুলে ধরা হয়।