বার্তা৭১ ডটকমঃ “মাদ্রাসা-টাদ্রাসা সব বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মাদ্রাসাগুলোয় সন্ত্রাসী তৈরী করা হয়, শিশুদের ধর্ষণ করা হয়, আর মগজধোলাই করে মানুষকে এক একেকটা মূর্খ, মিথ্যুক, হিংসুক, লোভী, নারীবিদ্বেষী, ধর্ষক বানানো হয়। বুধবার এভাবেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কিন্তু কেন তসলিমার এই বিষবর্ষণ?
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের আজিজিয়া মুখসুদুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হামিদকে (২৬) ওই মাদ্রাসারই প্রথম শ্রেণির মাত্র আট বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী শিক্ষক আব্দুল হামিদকে মসজিদের ভেতর তালা দিয়ে রেখে থানায় খবর দেয়।
বেলা সাড়ে বারোটায় সিরাজদিখান থানা পুলিশ এস আইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে। এই খবরেই বেজায় চটেছেন তসলিমা। তারপরেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই বিষোদগার।
ধর্ষিতার মা জানান, সকালে কাজ করে এসে দেখেন মেয়ে ব্যাথায় কাঁদছে, মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনে মেয়েকে নিয়ে শিক্ষকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে এবং জুতোপেটা করেন। তখন এলাকাবাসী এসে শিক্ষককে আটক করে। এর পর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।