বার্তা৭১ ডটকমঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন লেগার্দ আবারো বলেছেন, গ্রিসের ঋণ পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োাজন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যাক লিউ বলেছিলেন, গ্রিসের ঋণে ছাড় দেয়া প্রয়োজন, কারণ ইউরো থেকে গ্রিসের বের হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি ঋণ ছাড়ের কথা বললেও জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল বারবার বলে এসেছেন, ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের চুক্তিরও পরিপন্থী।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের কাছে গ্রিসের প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলারের ঋণ রয়েছে। তবে এর ৩০ হাজার কোটি ডলার ঋণের অধিকাংশই ইউরোজোন দেশগুলোর কাছ থেকে নেয়া।
ঋণ সংকট সমাধানে ইউরোজোনের প্রস্তাব ‘না’ ভোটে বর্জনের পর গ্রিসকে নতুন একটি প্রস্তাব দেবার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউরোজোন।
গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এলেঙিস সিপ্রাস জানিয়েছেন, ইউরোজোনের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যই তারা একটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
গ্রিক ঋণ সংকটের ওপর ইউরোপিয় পার্লামেন্টে এক বিতর্ক চলাকালে এ কথা বলেন এলেঙিস সিপ্রাস।
তিনি বলেন, রবিবারের গণভোটে ‘না’ জবাবের পর গ্রিক জনগণ আশা করছে, খুব দ্রুতই ব্যয় সংকোচন নীতির অবসান হবে।
দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে তৃতীয়বারের মতো একটি উদ্ধার প্যাকেজের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে গ্রিস।
দেশটিতে ব্যাংকগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে এবং সপ্তাহের বাকি দিনগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ক্যাশ মেশিন থেকেও দৈনিক ৬০ ইউরোর বেশি অর্থ তোলা বন্ধ রয়েছে।
তবে গ্রিক সরকার জোর দিয়ে বলছে, দেশটিতে খাদ্য এবং জ্বালানি সংকটের কোনো হুমকি নেই।