বার্তা৭১ ডটকমঃ নতুন বেইল আউট পেতে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের দেওয়া কঠোর সংস্কার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।
শনিবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে নিজ দলের একটি অংশের বিরোধীতার মুখে ইউরোপপন্থী বিরোধীদলগুলোর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবটি পাস হয়।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তারা সিপ্রাসের দেওয়ার প্রস্তাবটিকে ‘পূর্ণাঙ্গ’ বলে অভিহিত করে প্রস্তাবের প্রতি অনুকূল মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। এখন গ্রিসের পার্লামেন্টের সর্মথন পাওয়ায় প্রস্তাবটির গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়লো।
তবে নিজ দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি অংশের বিদ্রোহ সিপ্রাসের প্রধানমন্ত্রীত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার ব্রাসেলসে ইউরো জোনের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে সিপ্রাসের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরদিন রোববার বিকালে বৈঠকে বসবেন ইউরোগ্রুপের নেতারা। এর দু’ঘন্টা পর হবে ইইউ-র পূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন।
এসব বৈঠকেই সিপ্রাসের প্রস্তাবের আলোকে গ্রিসের সঙ্গে ইউরো জোনের নতুন চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
গ্রিসের ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ঋণের উপর নির্ভরশীল। নতুন করে ঋণ না পাওয়ায় তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখন সিপ্রাসের দেওয়ার প্রস্তাবটিকেই গ্রিসের অর্থ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ঠেকানোর শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই প্রস্তাবের উপরই নির্ভর করছে ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোতে গ্রিসের থাকা না থাকা।
এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টে নিজ দলের সদস্যদের একটি অংশের বিরোধীতা গ্রিস সরকারকে কিছুটা অনিশ্চয়তা মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সিপ্রাসের ক্ষমতাসীন বামপন্থী সিরিজা পার্টির ১০ সদস্য হয় ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন অথবা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, আরো সাতজন ভোটভুটির সময় উপস্থিতই ছিলেন না।
এতে প্রস্তাব পাস হতে প্রয়োজনীয় ১৫১ সদস্যের সর্মথন পেতে বিরোধীদলগুলোর সমর্থন নিতে হয় সিপ্রাসকে।
দাতাদের ব্যয়সংকোচন প্রস্তাবের অনেকগুলো শর্ত প্রধানমন্ত্রী মেনে নেওয়ায় নিজ দলের একটি অংশের ক্ষুব্ধতা সত্বেও সিপ্রাস বলেছেন তার মনযোগ এখন চুক্তি করার দিকে।
তিনি বলেছেন, “আলোচনা সম্পূর্ণ করার জন্য পার্লামেন্ট আজ সরকারকে শক্ত সমর্থন দিয়েছে, এর মাধ্যমে অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সচল হওয়ার ও সামাজিকভাবে ন্যায্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে।”
“এখন আলোচনা থেকে একটি অনুকূল ফল বের করে আনাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাকী সবকিছু সময়ের উপর নির্ভর করছে।