বার্তা৭১ ডটকমঃ তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চয় এখন নিজেদের হাত কামড়াচ্ছে! কী দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের সঙ্গের সিরিজটাকে ত্রিদেশীয় সিরিজ বানানোর? চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পথে যে ‘ক্ষণিকের বন্ধু’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে তাদের জন্যই!
যাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা আটকানোর জন্য এত আয়োজন সেই বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে নিল।
সিরিজ শুরুর আগেই একটা সমীকরণ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কেবল একটা ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা নিশ্চিত। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনায়াস জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলল ২০১৭ সালের ইংল্যান্ড যাত্রা। আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপও ইংল্যান্ডে। এই টুর্নামেন্ট খেলা বাংলাদেশের জন্য তাই বিরাট এক সুযোগ। শুধু অভিজ্ঞতায় নয়, রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলারও।
এই সিরিজে ম্যাচ বাকি আছে আরও একটি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ নিশ্চিত করল, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে যাই ঘটুক না কেন, বাংলাদেশের ওয়ানডে রেটিং ৯৩ এর নিচে নামছে না। আর সঙ্গে সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার ইঁদুর-দৌড়ে বাংলাদেশ চলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আওতার বাইরে। এখন পাকিস্তান নিশ্চয় চাইবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজটা সর্বোচ্চ ব্যবধানে জিততে। কারণ জিম্বাবুয়েতে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি সবগুলো ম্যাচে জেতে, উল্টো বিপদে পড়ে যাবে পাকিস্তানই। ‘খাল কেটে হাঙর আনা’র এত চমৎকার উদাহরণ নিশ্চয় হতে চাইবে না পাকিস্তান বোর্ড!
মাশরাফি যদিও বলেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই কিন্তু হালকা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই। ক্রিকেট খেলাটাকে ক্রমশ সংকুচিত করতে চাওয়া আইসিসির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটা জোরালো জবাব বাংলাদেশের এই জয়।
ক্রিকেটের তিন মোড়ল, বিশ্বকাপে মাত্র দশ দেশের খেলা সব মিলিয়ে ক্রিকেটে হয়ে উঠছে শুধুমাত্র তথাকথিত বড় দলগুলোর সম্পত্তি। আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন নিশ্চিতভাবেই আইসিসির এই সব ‘বড় দল’গুলোর দাবিকে অসাড় প্রমাণ করবে। এখন বাংলাদেশের সামনে শুধু পরের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ। মাশরাফি-বাহিনী আশার গানই শোনাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাবি জানাচ্ছে, দলের সুদিনের পাশাপাশি দুর্দিনেও যেন সমর্থকেরা থাকেন বেশি কাছাকাছি।