বার্তা৭১ ডটকমঃ ঈদুল ফিতরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শান্তি ও সৌহার্দের সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার বঙ্গভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,“ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।
“বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানই উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন,“ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা ও ঈদের আনন্দ প্রতিটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক-এ প্রার্থনা করি। ”
“আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাই এক কাঁতারে শামিল হন।”
এর আগে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় তার স্ত্রী রাশিদা খানম ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সপরিবারে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়া শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান,প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক,ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিকও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কূটনৈতিক কোরের ডিন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ এইচ আবুইয়াদেহ,যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আইনজীবী কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা, আইজিপি শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, শিল্পী ফকির আলমগীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এছাড়া সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।