বার্তা৭১ ডটকমঃ মন্ত্রিসভায় রদবদলে সরকারের কাজে গতি বাড়ে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ঈদশুভেচ্ছা বিনিময়ের পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পার্লামেন্ট সিস্টেম অব ডেমোক্রেসিতে এটা একটা সাধারণ কাজ। যে কোনো সময় মন্ত্রিসভায় চেইঞ্জ হতে পারে। মন্ত্রী পরিবর্তন হতে পারে। মন্ত্রীদের পরিবর্তন হওয়া, মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পুনর্বণ্টন হচ্ছে সরকার প্রধানের এখতিয়ার। কাজেই আমরা সময়ে সময়ে এই ধরনের পরিবর্তন আনতে পারি।
“মাঝে মাঝে পরিবর্তন আনলে একটু গতিশীলতা বাড়ে। মানুষের আগ্রহও বাড়ে।”
এ সময় হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই যে একটু পরিবর্তন হল, মিডিয়াও একটু লেখার সুযোগ পেল। মিডিয়াকেও একটু লেখার সুযোগ করে দিলাম। এই জন্য আমাদেরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।”
“কাজেই এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। এটা সব সময়ে হয়, সব দেশেই হয়। এটা নিয়ে বিরূপ কথা বলার কোনো সুযোগ নাই।”
গত ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে এক সপ্তাহের মাথায় আশরাফকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরমধ্যে নুরুল ইসলাম বিএসসিকে মন্ত্রী এবং তারানা হালিম ও নুরুজ্জামান আহমেদকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়। নুরুল ইসলাম বিএসসিকে দেওয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব; স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আসার আগে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রিসভায় এই রদবদল নিয়ে আলোচনায় অতীতের দুটি ঘটনা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “একটি কথা বলি, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার নেতৃত্বে যখন ক্ষমতায়, উনি কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে কামরুজ্জামান সাহেবকে সভাপতি করেছিলেন। উনাকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তিনি পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পার্টি চালাতেন, কিন্তু মন্ত্রীর মর্যাদায় ছিলেন। কাজেই এই পদ্ধতিও ছিল।
“বঙ্গবন্ধু ’৫৭ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সংগঠনটাকে গড়ে তোলার জন্য পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন।
“বাংলাদেশে একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ গ্রহণ করে দলকে সুসংগঠিত করতে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন। এটা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের হয়, এটা নিয়ে এত লেখালেখির সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।”