বার্তা৭১ ডটকমঃ চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে নতুনটিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, ঘোষিত মুদ্রানীতিটি ক্ষেত্রবিশেষে নমনীয়, প্রবৃদ্ধি সহায়ক ও সর্বোপরি বিনিয়োগ বান্ধব।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ সকালে নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর আতিউর রহমান।
ঘোষিত মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সেই হিসাবমতে চলতি অর্থবছরের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দেড় শতাংশের মতো বেড়েছে। তবে গত মুদ্রানীতিতে এ খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল সাড়ে ১৫ শতাংশ। সেটিকে বিবেচনায় ধরলে এবারের বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কিছুটা কমেছে।
পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা-বরাবরের মতো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সদ্যঘোষিত মুদ্রানীতিতে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার যে লক্ষ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ছিল সেটি অর্জিত হয়েছে। তবে খাদ্য ও জ্বালানি বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেলক্ষ্যেই সাজানো হয়েছে মুদ্রা সরবরাহ সংক্রান্ত এবারের নীতিটি।
গভর্নর বলেছেন, মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে সংযত ও সতর্ক ভঙ্গি বজায় রাখা হলেও প্রয়োজনীয় এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক কিছু খাতে বেশ নমনীয় নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে উৎপাদনমুখী শিল্পে পর্যাপ্ত অর্থায়নের জোরালো নীতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকে উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে ৫০ কোটি ডলারের আলাদা দুটি তহবিল গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গঠন করা হবে ৩০ কোটি ডলারের একটি তহবিল। আর নিজস্ব অর্থে গঠন করা হবে ২০ কোটি ডলারের অপর একটি তহবিল
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা (চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট) উপদেষ্টা আল্লাহ্ মালিক কাজেমী, ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মোহাঃ রাজি হাসান ও নাজনীন সুলতানা।