বার্তা৭১ ডটকমঃ খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নির্দিধায় প্রতারণা করতো আব্দুল মতিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো এ খবরটা শুনলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। প্রতারক মতিন র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর বেরিয়ে আসে তার প্রতারণার আশ্চর্য খবর।
আটক আব্দুল মতিন উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে বলে জানা গেছে।
র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক এএসপি আলেপ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মতিন দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি এমকে শামীম চৌধুরী পিএস সাজ্জাদুল ইসলামের পরিচয় ব্যবহার করে রামগতি, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও র্যাব জানায়, মতিন প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স ব্যবহার করে গরীব ও অসুস্থ ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়ে বিপুল অংকের টাকা ইতোমধ্যেই আত্মসাৎ করেছে মতিন। অসংখ্য মানুষ মতিনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পথে বসেছে। এখন মতিন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ায় ভূক্তভোগিরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
প্রথমে তিনি ০১৭১৬৫০২২৩৯ নম্বর ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করে, মোবাইল ম্যাসেজ এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো এক কাল্পনিক ছাত্রের নামে বানানো ভুয়া ডাক্তারি কাগজপত্র পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করে নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে অর্থ পাঠানোর জন্য তাগিদ দিয়ে প্রতারণা করতো।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার গৌরগবিন্দকে প্রকৃত সাজ্জাদুল হাসান, পিএস-১, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনে করে ১ লাখ টাকা টিটি করে পাঠিয়েছেন। সে এই কাজে আরও ০১৮১১১৬৮০৯১, ০১৮৫০৩৫৪০৪২, ০১৮১৯০০২২৩৮ নম্বরগুলো এবং হিসাব নম্বর ৪৫২৩, মিজানুর রহমান, কমলাপুটি শাখা, ফেনী, হিসাব নাম্বার ৩৪০৭২০৫৫, রুমা আক্তার, অগ্রণী ব্যাংক, ফেনী এবং বিকাশ নাম্বার ০১৮১১৯২৯৩৯৬ ব্যবহার করতো। তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে ছবি এডিটিংয়ে পারদর্শী। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজের ছবি এডিট করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক প্রদর্শনের মাধ্যমেও প্রতারণা করতো।
র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি ও কার্যক্রম গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখে অবশেষে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার এ প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সব দোষ স্বীকার করেছে বলে র্যব জানায়।