বার্তা৭১ ডটকমঃ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সামনে রেখে শক্তিশালী একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত ওই নতুন নির্বাচন কমিশনটি এমন হতে হবে, যাতে করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে ভোটারদের আস্থা থাকবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার স্বার্থে সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন করার কথাও বলেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক কমিটির এক প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আগামী নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার স্বার্থে আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার কথাও তারা বলেছে।
চার দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষ প্রান্তে এসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় ইইউ দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।সাত সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির প্রধান বারন্ড লাঙ্গা। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে কমিটির বাইরে ছিলেন ইপির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেলিগেশন প্রধান জিন ল্যামবার্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে বারন্ড লাঙ্গা বলেন, বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুনর্গঠন হওয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার।
তিনি বলেন, ইউরোপে বহুদলীয় মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সবচেয়ে ভাল নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বাছাই করে এই নিয়োগ দিতে পারে।
স্পিকারের সাথে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য সংসদ সদস্যদের ভূমিকা রাখতে হবে।
জিন ল্যামবার্ট বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও সক্ষম হতে হবে। আর পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনী প্রচারণায় সব পক্ষ যাতে সমান সুযোগ পায়- তা নিশ্চিত করতে হবে।