বার্তা৭১ ডটকমঃ
মাস্টারকার্ড সম্প্রতি তাদের বাংলাদেশ অফিস কার্যক্রম পরিচালনার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের উপস্থিতিরও ২০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ দেশে প্রথম মাস্টারকার্ড ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক কার্ড চালু হয় ১৯৯৭ সালে।
প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবা প্রদানকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাস্টারকার্ডই প্রথম ২০১৩ সালে বাংলাদেশে অফিস খুলে সর্বাত্মক কার্যক্রম শুরু করে। এর পর গত তিন বছরে বাংলাদেশের ১৬টি শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ব্যাংককে অংশীদার হিসেবে পেয়েছে মাস্টারকার্ড। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল), ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও লংকাবাংলা ফিন্যান্স।
মাস্টারকার্ড তার প্রযুক্তিভিত্তিক বৈশ্বিক লেনদেন কার্যক্রমের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশেও কাজে লাগিয়েছে। সে অনুযায়ী মাস্টারকার্ড এদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষজনকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক কর্মকান্ডের উপযোগী পণ্য-সেবা উদ্ভাবন ও চালু করেছে। এছাড়াও ব্যুরো বাংলাদেশের সহযোগিতায় থ্রি-ফেজ গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম চালু করেছে মাস্টারকার্ড।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘এ দেশে যখন প্রযুক্তিভিত্তিক বৈশ্বিক লেনদেন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত আর কোনো কোম্পানির কোনো অফিস ছিল না তখন মাস্টারকার্ড এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ অফিস খুলেছে। বাংলাদেশে নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলা তথা নগদ অর্থের পরিবর্তে কার্ডকেন্দ্রিক আর্থিক লেনদেন কার্যক্রমের প্রসারে আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে, যেটি বাস্তবায়নে আমরা খুবই আশাবাদী। তিন বছর আগে আমরা কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ দেশে অফিস খুলেছি, আর সেটি অর্জনের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেই আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা বাংলাদেশে নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলা তথা নগদ অর্থের পরিবর্তে কার্ডকেন্দ্রিক আর্থিক লেনদেন কার্যক্রমের বিকাশের চেষ্টা করছি। এবং পাশাপাশি আমাদের আরো দুটি হলো- অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং নিরাপদে ও নিরাপত্তার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে, এপ্রিল মাসে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, ব্রাক ব্যাংক ও বিকাশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মাস্টারকার্ড পুল রেমিট্যান্স সার্ভিস অর্থাৎ বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা প্রবাস-আয় নিয়ে আসার সেবা চালু করেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা খুবই সহজ উপায়ে দেশে পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স বা প্রবাস-আয় পাঠাতে পারছেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে মাস্টারকার্ড প্রথমবারের মতো তার গ্রাহক অর্থাৎ মাস্টারকার্ডধারীদের জন্য ‘চার চাক্কা হৈ হৈ’ নামে একটি ‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ (খরচ করুন, আর জিতে নিন) ক্যাম্পেইন চালু করে। দেশের সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করার মৌসুমে গ্রাহকদের প্লাস্টিক কার্ড (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি) ব্যবহারে উৎসাহিত করতে ওই ক্যাম্পেইন চালু করা হয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন কোম্পানি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে। এটি হলো মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় চালু হওয়া ফার্স্ট কমার্শিয়াল পেমেন্ট সলিউশন বা প্রথম বাণিজ্যিক লেনদেন সম্পাদনের সমাধান।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট গীতাঙ্ক ডি. দত্তসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।