বার্তা৭১ ডটকমঃ বিপিএলে খুলনা টাইটানসের জয়রথ থামালো রংপুর রাইডার্স। হাতে এক ওভার ও সাতটি উইকেট রেখে তারা ১২৯ রান করলে চার ম্যাচ পরে প্রথম পরাজযের তিক্ত স্বাদ নিতে হয় খুলনাকে। আগে ব্যাট করে খুলনার ১২৬ রানের লক্ষ্য কঠিন কিছু হতে পারেনি রংপুরের জন্য। ৭ উইকেটের এই জয়ে খুলনাকে টপকে শীর্ষে জায়গা করে নিল রংপুর। দুই দলেরই সমান ১০ পয়েন্ট, তবে খুলনা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে রংপুরের চেয়ে। আর তাই তাদের নেমে যেতে হলো দুই নম্বরে।
জবাব দিতে নেমে সহজে জযের পথে এগিয়ে চলে রংপুর। খুলনার বোলাররা ছিলেন দৃশ্যত ক্লান্ত। সৌম্য সরকারকে তিন রান ফেরত পাঠানো ছাড়া কখনোই রংপুরের ব্যাটিং লাইনআপের ওপর দাপট দেখাতে পারেনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ শাহজাদ ও মোহাম্মদ মিথুন।
অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ডাউন দ্য উইকেট এসে মাহমুদউল্লাহকে উড়িয়ে মেরেছিলেন শাহজাদ। সীমানা পার করাতে পারেননি, লং অনে অলক কাপালি বল ধরে ফেলেন। ৩৮ বলে চারাটি চার ও একটি ছয়ে ৩৭ রান করে বিদায় নেন শাহজাদ।
মিথুনকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এলেন শহীদ আফ্রিদি। চার রানে বেনি হাওয়েলের নো বলে বোল্ড হলে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার পরের বলেই তার পাওয়া জীবনটা উদযাপন করেন হাঁটু গেড়ে সুইপ করে মারা এক ছক্কা দিয়ে। ১টি ছয় ও ২টি চারে ২০ বলে ২৬ রান করে রংপুরকে তিনি নিয়ে যান জয় থেকে চার রান দূরে, আর সেই চারটি মারতে গিয়েই তিনি হাওয়েলের বলে হন বোল্ড।
মিথুন অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছক্কা ছিল তিনটি ও চার একটি। লিয়াম ডওসন বেনি হাওয়লের বলে কাট করে চার মেরে টপকে যান খুলনার ১২৫ রানের সংগ্রহ। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সাত উইকেটে ১২৫ রান করে খুলনা। টসে জিতে ব্যাট করতে নামার পর দলটির পথচলা সুন্দর হয়নি ওপেনার আবদুল মজিদের ১০ রানের বিদায়ে। রংপুরকে শুভ সূচনা দেন স্পিনার আরাফাত সানি । দশ রানের মাথায় সানিকে কাট করতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় বল লাগিয়ে প্লেইড অন হন মজিদ। আর কিছুক্ষণ পরেই আন্দ্রে ফ্লেচারের বিদায় ঘণ্টা বাজান সানি। গ্ল্যান্স করতে গিয়ে আট রানে এলবিডব্লিউ হন ফ্লেচার। ২০ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা।
আগের ম্যাচগুলোতে এমন অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এবার আর তা পারেননি। ১১ রান করে আফ্রিদিকে ছক্কা মারার চেষ্টায় তিনি বল জমা দেন ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো আনোয়ার আলির হাতে।
রিকি ওয়েসেলস ছিলেন ক্রিজে, তবে কখনোই খুলনার রানের চাকায় ছিল না বাড়তি গতি। ৩৩ বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ২৭ রান করে তিনি রুবেল হোসেনের বলে নাঈম ইসলামের ক্যাচে ধরেন সাজঘরের পথ। ১৭ ওভারের দ্বিতীয বলে ওয়েসেলসকে ফেরানোর পর এই ওভারের শেষ বলেই আরেক সেট ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমানকে কট বিহাইন্ড করেন রুবেল। ৩৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রান করে তাইবুরই ছিলের খুলনার সর্বাধিক স্কোরার। তার এ ৩২ রান না হলে আরও ছোট হতো খুলনার সংগ্রহ।
শেষ দিকে আফ্রিদিকে মারা আরিফুল হকের দুটি ছক্কার মারে ১৩ বলে ২২ রানের ইনিংসে সংগ্রহটা ১২৫ রানে নিয়ে যায় খুলনা। কিন্তু সেটা বেশ আয়েশি ব্যাটিং করেই পেরিয়ে যায় রংপুর।