হিলারি-মমতা বৈঠকে তিস্তা নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, “যেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোই জানাবো। তবে তিস্তা নিয়ে তিনি আমায় কিছু জিজ্ঞাসা করেননি এবং এনিয়ে কোনো কথাও হয়নি।”
বিনিয়োগ প্রশ্নে আমেরিকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে হিলারির আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান মমতা।
একই সঙ্গে হিলারিকে হলিউড-বলিউড-টালিউড এই দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে যৌথভাবে চলচ্চিত্র উন্নয়নের কাজ করার আহবান জানান মমতা।
মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানবপাচার রোধ নিয়ে কাজ করছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে হিলারিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ ও ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের চারটি বই উপাহার দেয়া হয়েছে বলে মমতা জানান। উল্টো হিলারি রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা একটি রুমাল উপহার দেন মমতাকে।
মমতা ব্যানার্জিকে আমেরিকা সফরের আমন্ত্রণ দেন হিলারি। পাল্টা হিসাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামাকেও আমন্ত্রণ জানান।
মমতা আরো বলেন, হিলারি তাকে বলেছেন টাইমস ম্যাগাজিনের দেয়া বিশ্বের শক্তিধর নারীর তালিকায় নাম দেখে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একজন মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করে এভাবে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করার ঘটনায় আমেরিকা অভিভূত।
হিলারি ক্লিনটন চলে যাওয়ার পর দুপুর সোয়া একটায় মহকারণে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠক নিয়ে এভাবেই খোলামেলা কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এর আগে প্রায় ৫০ মিনিট বৈঠক করে স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মহাকরণ থেকে বের হন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এই মহুর্তে কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। সেখান থেকে দিল্লি যাবেন হিলারি।