বার্তা৭১ ডটকমঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে গত ৮ নভেম্বর। তাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কট্টোরপন্থি ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে গেছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে ১৭ লাখ বেশি ভোট পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এত বিপুল পপুলার ভোটে তিনি এগিয়ে থাকলেও জটিল ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাঁচে হেরে গেছেন হিলারি। যা নিয়ে হাহুতাশ করছেন ডেমোক্রেট সমর্থকরা।
টাইম ম্যাগাজিনের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গণনা অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন মোট ৬ কোটি ৩৬ লাখ ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৬ কোটি ১৯ লাখ ভোট। এই পরিসংখ্যানের পর ডেমোক্রেট শিবির থেকে ইলেকটোরাল কলেজ বাতিলের দাবি ওঠেছে। যে দাবিতে গতকাল পর্যন্ত ৪৫ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছে।
কুক পলিটিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যত ভোট গণনা করা হয়েছে তার মধ্যে হিলারি পেয়েছেন শতকরা ৪৮ ভাগ ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন শতকরা ৪৬.৭ ভাগ ভোট। কিন্তু এত ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও হিলারি শেষ হাসিটি হাসতে পারেননি। কুক পলিটিক্যাল রিপোর্ট হলো একটি অরাজনৈতিক মার্কিন অনলাইন। যারা মার্কিন কংগ্রেস, সিনেট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট কাস্ট ও মোট ভোট সংখ্যা বিশ্লেষণ করে। হিলারি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে যে পরিমাণ অর্থাৎ ১৭ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন তা দেশটির ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের মোট জনসংখ্যার সমান।
যুক্তরাষ্ট্রে যে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ব্যবস্থা আছে তাতে কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন সে রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন তিনি। এ হিসাবে ট্রাম্পের সংগ্রহ ২৯০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। হিলারির সংগ্রহ ২৩২। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এ লড়াইয়ে হিলারিকে পিছনে ফেলে দেন ট্রাম্প।
মূলত ব্যাটলগ্রাউন্ড বা ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ বলে পরিচিত রাজ্য ফ্লোরিডা, ওহাইও ও নর্থ ক্যারোলাইনায় রিপাবলিকান প্রার্থী জয়ী হন। এ ছাড়া অপ্রত্যাশিতভাবে পেনসিলভ্যানিয়া ও উইসকনসিনে বিজয়ী হন ট্রাম্প। এ দুটি রাজ্য ডেমোক্রেটদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এসব রাজ্যে হিলারির পরাজয় হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। কুক পলিটিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, ভোটে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন ও লিবারটারিয়ান পার্টির গ্যারি জনসন দুজনে মিলে পান ৭০ লাখেরও বেশি ভোট। নির্বাচনের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখনো ভোট গণনা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় হিলারির চেয়ে ট্রাম্প কম ভোট পেয়েছেন এমন সমালোচনায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প।