বার্তা৭১ ডটকমঃ
সারাদিন অফিসের ব্যস্ততা শেষে সবাই ঘরে একটু প্রশান্তির ছোয়া চায়। ইট পাথরের শহরে এই মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে হাউসপ্ল্যান্ট। অল্প আলোতে এবং ঘরের ভেতর বেঁচে থাকার ক্ষমতা সম্পন্ন গাছ গুলোকে ইংরেজী ভাষায় হাউসপ্ল্যান্ট বলা হয়। প্রশান্তির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে হাউসপ্ল্যান্ট। শুধু কি তাই, আসবাপত্র আর যন্ত্র গুলোর মাঝে একটু বন্যতার ছায়া যেন ঘরের সৌন্দর্য্য আরোও ফুটিয়ে তোলে।
তাই বর্তমানে ঘর কিংবা অফিস সাজাতে, মানষিক প্রশান্তি আনতে সবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঘরের ভেতর গাছ লাগানো হয়। কিছু কিছু গাছ ঘরের মধ্যে জমে থাকা ভেপসা বাতাস, দুর্গন্ধ, আসবাপত্র ও দেয়ালের রং, বৈদ্যুতিক জিনিস থেকে নির্গত বিষাক্ত বায়বীয় পদার্থ শোষণ করে নেবার ক্ষমতা রাখে যা মূলত বায়ু পরিশোধক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া গাছের বৈচিত্র, সজীবতা মনকে সব সময় উত্ফুল্ল করে। এ কারণে প্রত্যেকেরই উচিত চার দেয়ালের মধ্যে জীবন্ত উদ্ভিদ রাখা।
যেভাবে সাজাবেন
> ঘরের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে মানানসই উদ্ভিদ ও টব বাছাই করুন। তা ছাড়া অবস্থান ও আয়তনের কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। এমন অনেক গাছ আছে, যেগুলো ছায়ায় বা সরাসরি সূর্যের আলো ছাড়াও বেঁচে থাকে। তবে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল থাকলে ভালো।
> পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুবিধার্থে ঘরের আসবাবপত্র ও গাছের মাঝখানে যথেষ্ট পরিমাণ ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে। বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো অবস্থা এড়াতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘর সাজাতে হবে।
> বিশেষজ্ঞদের মতে, ছায়ায় ভালো জন্মায়—এমন গাছই ঘরের জন্য নির্বাচিত করা উচিত। এ ক্ষেত্রে ইংলিশ আইভি, ম্যারেন্টা, জ্যাকোবিনিয়া, রাবার, বট ও মানি প্ল্যান্ট রাখা যেতে পারে।
> ড্রয়িংরুমের টেবিলে দু-একটি বনসাই প্ল্যান্টও রাখতে পারেন। রোদ পড়ে না, এমন দেয়ালে ঝুলন্ত উদ্ভিদ লাগানো যায় বা ওয়াল কার্পেটিংও করা যায়। শোয়ার ঘর ও খাবারের ঘরের শাঝের স্থানটিতে সারিবদ্ধভাবে কারুকাজ করা টবে বাহারি পাতার গাছ লাগানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্রোটন, রক্তপাতা, রিবন প্ল্যান্ট, ডাম্বকেইন, শতমূলী, ক্যালাডিয়াম ও ড্রাসেনা প্রভৃতি উদ্ভিদ বেছে নেয়া ভালো।
> মানিপ্ল্যান্টের মতন যেসকল গাছ পানিতে রাখলেই হয়, সেসকল গাছ বাড়িতে কন্টেইনার তৈরি করে রাখা যায়। অথবা পুরনো প্লাস্টিকের কন্টেইনার বা সিরামিকের মগেও সাজিয়ে নেয়া যায়। এই জাতীয় গাছগুলো দেখতেও যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি ঘরের মাঝেও আসে সবুজের ছোঁয়া।
> পুরনো চায়ের কেটলি বা সুগার পটের হ্যান্ডেল ভেঙ্গে গেলে, ভাঙা স্থানটি পরিষ্কার করে, রং করে তাতে গাছ লাগিয়ে বাথরুম বা কিচেনে সাজিয়ে রাখলে বেশ সুন্দের শোভাবর্ধিত হয়।
> লম্বা ফুলদানিগুলোতে ফুলের স্টিক রাখলে, তা সেট করতে বেশ ঝামেলা হয়। তাই তাই ফুলদানিতে পানি ভরে কয়েল পেপার দিয়ে মুখ আটকিয়ে রাখুন। এরপর কয়েলে ছোট ছোট ফুটো করে ফুলের স্টিকগুলো ঢুকিয়ে দিন। পানির মধ্যে স্টিকগুলো সোজা হয়ে থাকবে।
> যে ধরনের গাছের গোঁড়া পানিতে রাখলে ভালো হয়, সেগুলোকে কাঁচের বোতলে করেই রাখা যায়। গাছের মূল বেড়ে উঠলে পানি ফেলে দিয়ে মাটিতে লাগানো যায়।