বার্তা৭১ ডটকমঃ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৬ উদ্বোধনকালে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বিভিন্ন রকম দখলদারের সঙ্গে কাজ করতে হয় আমাকে। একটা হলো গরিব দখলদার। যারা রাস্তা দখল করে আছে। তাদেরকে পুলিশ খুব পেটাতে পারে। আরেকটি হলো বড়লোক দখলদার। তিন মাস ধরে দেখছি তাদের। ঢাকা শহরের গুলশান এলাকায় এখন কাজ করছি।
তিনি বলেন, গুলশান-১ ও ২ এর মধ্যে ১৭টি স্ট্যাবলিশমেন্ট পেয়েছি। যারা কোনো না কোনোভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গা দখল করে আছে। গরিব হকারদের পুলিশ তাড়াতে পারে। কিন্তু এই বড়লোক হকাররা পুলিশকে তাড়ায়। দখলদাররা মাল্টিন্যাশনাল হোটেল তৈরি করেছেন, মাল্টিন্যাশনাল বিজনেস হাউজ তৈরি করেছেন সিটি করপোরেশনের জায়গায়।
আমি স্পষ্টভাবে বলছি, তাদের কাছ থেকে প্রত্যেক ইঞ্চি জায়গা আমরা নিয়ে নেব। দুইজনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, রাত ৩টার দিকে তাদের দখল করা জায়গায় বুলডোজার চালিয়ে দিয়েছি। আপনারা দেখবেন ইনশাআল্লাহ, ১২-১৪ ফুটের ফুটপাত তৈরি হচ্ছে। এমনভাবে ফুটপাত তৈরি করছি যাতে একজন অন্ধ লোকও রাস্তা দিয়ে একা চলে যেতে পারেন।
মেয়র আনিসুল হক আরো বলেন, বনানীর কোনায় ৫২ বছর মোনায়েম খান সাহেবের জমি দখল করে রাখা হয়েছিল। আমরা জোর করে দখল করেছি। দখল করার পর দেখলাম হাইকোর্ট ওই জায়গার ভেতরে আমাদের আরো ১৪ ফুট জায়গা দিয়ে দিয়েছেন।
ঢাকা শহরকে যানজট মুক্ত করা এবং এই শহরটাকে শৃঙ্খলায় আনা খুবই মুশকিল- একথা জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, মিরপুর এলাকায় ২২-২৩ টি খাল আছে। একটি খালেরও প্রপার অবস্থা এখন নেই। সর্বোচ্চ লম্বা খালটির দৈর্ঘ্য ১ মাইল, তাও পানি নেই। বাড়িঘর, মাঠ ও বাজার বানিয়েছে খালের উপরে। তাহলে কী করে ঢাকা শহরের জলজট মুক্ত করবেন? যে শহরে ৩ লাখ গাড়ি থাকার কথা, সেখানে গাড়ি আছে ১১ লাখ। কী করে মেয়র বা সরকারি লোকজন ঢাকা শহরের যানজট মুক্ত করবেন?
ডিআরইউ সদস্যদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা যারা সাংবাদিকতায় নতুন, আপনারা আমাদের সম্পদ। কারণ যখন কোনো শক্ত বিরোধী পক্ষ না থাকে, তখন গণমাধ্যম প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়ায় এবং এই গণমাধ্যমই জনসমর্থনের শক্তি। সেই জায়গাটিতে নতুন সাংবাদিক যারা আছেন, তারা তৈরি হচ্ছেন।
ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় এসময় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।