বার্তা৭১ ডটকমঃ
বাংলাদেশ থেকে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপস বিক্রির সুযোগ না থাকায় অনেকেই এক্ষেত্রে টিকতে পারছেন না কিংবা বিমুখ হচ্ছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত পরিকল্পনা, অ্যাপস ও গেমসের বিপণন এবং সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশ এই খাতে বড় অবদান রাখতে পারবে।
অ্যাপস ও গেমস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আয় বা মনিটাইজেশন নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বেসিস সভাকক্ষে আয়োজিত এই সেমিনারে সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শতাধিক অ্যাপস ও গেম ডেভেলপার অংশ নেন।
বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বেসিসের সহ-সভাপতি ও বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক এম রাশিদুল হাসান।
আলোচক হিসেবে ছিলেন হামজা গেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মো. রুবেল হামজা ও রিভেরি কর্পোরেশনের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার অনিন্দ্য দ্যুতি ধর। বক্তব্য দেন বেসিসের মোবাইল অ্যাপস ও গেমস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হক অনু ও মোহাম্মাদ শাহজালাল।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘আমরা মোবাইল অ্যাপস ও গেমসের ডেভেলপমেন্টকেই গুরুত্ব দেই। কিন্তু‘ওই মোবাইল অ্যাপস ও গেমসের সফলতার জন্য এর বিপণনে (মার্কেটিং) বেশি জোর দেয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি, ডেভেলপমেন্টে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাজেট ও বিপণনে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বাজেট খরচ করা প্রয়োজন’।
এম রাশিদুল হাসান বলেন, ‘ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সাথেই আমরা অ্যাপস ও গেম ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছি। সঠিক পরিকল্পনা, অ্যাপস স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণ থাকা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের মোবাইল অ্যাপস ও গেম ডেভেলপমেন্টের উন্নয়নে বেসিস কাজ করছে। আগামীতেও ট্রিলিয়ন ডলারের অ্যাপস ও গেমসের বাজারে বাংলাদেশের দৃশ্যমান অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে’।