বার্তা৭১ ডটকমঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এলুয়েট হেলিকপ্টার এয়ারফ্রেম উপহার দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর। এই হেলিকপ্টারটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় যে ৩টি আকাশযান নিয়ে কিলো ফ্লাইট গঠিত হয়েছিল, তার অন্যতম যা ১৯৭১ সালে ডিমাপুরে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে সদ্যগঠিত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম ফাইটার হেলিকপ্টার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুদ্ধের সময় এই ফাইটার হেলিকপ্টারটি নিয়ে সকল প্রতিকূলতা জয় করে শত্রুপক্ষের বিপুল ধ্বংসসাধনে বাংলাদেশের বীর পাইলটদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ভারতীয় হাই কমিশন সূত্র জানায়- ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি আইএল ৭৬ এয়ারক্রাফ্টযোগে ফাইটার হেলিকপ্টারটি ২দিন আগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই এয়ারফ্রেমটি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ঢাকায় দুইদিন সফর করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর। তার সফরসঙ্গী হিসেবে দিলেন সেনা ও বিমান বাহিনীর ভাইস চিফদ্বয়, নৌবাহিনীর ডেপুটি চিফ, তটরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ভারতের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। সম্প্রতি নিষ্পত্তি হওয়া স্থল ও সমুদ্রসীমার পর এ সফরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে বিনিময় বৃদ্ধি পায়। সফরটি মন্ত্রীর কোনো প্রতিবেশী দেশেও প্রথম সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বের ইঙ্গিতবাহী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণ, কোস্ট গার্ডর মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সফরকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তিন বাহিনীর গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী প্রতিনিধিরা চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিও পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে মন্ত্রীর ব্যাপকভিত্তিক আলোচনায় দুই দেশের সশন্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃপ্রতীম বন্ধন আরো জোরদার হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রচেষ্টার সামর্থ্য ও ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত স্বয়ম্ভরতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান। আলোচনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, যৌথ মহড়া অনুষ্ঠান, এইচএডিআর কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং ‘ব্লু ইকোনমি’র উদ্যোগ স্থান পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাকে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী উদগ্রীব হয়ে আছেন।