বার্তা৭১ ডটকমঃ
হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি চালের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকে সরকারি দলের লোকজনই বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম ‘সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও নিরাপত্তা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’র বিষয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কামরুল ইসলাম বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। অথচ একটি স্বার্থন্বেষী মহল এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। অস্বীকার করব না, সেই ডিলাররা নিশ্চয়ই সরকারি দলের।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি দলের চেয়ারম্যান-মেম্বার কর্মসূচিটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল। সাংবাদিকরা অনিয়ম চিত্র পত্র-পত্রিকায় তুলে ধরেছেন। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে শতাধিক ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করেছি, কার্ড বাতিল করেছি। এ কর্মসূচিকে একটা সুষ্ঠু পর্যায়ে আমরা নিয়ে এসেছি। আগামী মার্চে আবার খাদ্য বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিহিংসা চারিতার্থ করার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে না। অনেকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের প্রতি প্রতিহিংসাবশত মামলা মোকদ্দমা ইত্যাদি চলছে। এগুলো ঠিক নয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। আমরা বিশ্বাস করি আইন একজন সাধারণ কর্মীর ব্যাপারে যেভাবে প্রযোজ্য, একজন নেতা বা নেত্রীর ক্ষেত্রেও ততটুকু প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, আজকে দুর্নীতির অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়া অভিযুক্ত। তার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। আদালত যে রায় দেবে সেই রায় আমরা মেনে নেব। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেকে সেই রায় মেনে নেবেন। কোনো প্রতিহিংসা চারিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার হচ্ছে না। প্রকাশ্য আদালতে বিচার হচ্ছে, স্বচ্ছ বিচার হচ্ছে।
সাংবাদিক অধিকার ফোরামের উপদেষ্টা মো. আজিজুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।