বার্তা৭১ ডটকমঃ
শুধু জিয়াউর রহমানের কবর নয়, লুই আই কানের মূল নকশা ধরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় থাকা সব কবর সরিয়ে নেওয়া হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।লুই কানের নকশা আনার উদ্যোগকে জিয়ার নাম মুছে ফেলার ‘নীল নকশা’ হিসেবে বিএনপির আখ্যা দেওয়ার জবাবে শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
কামরুল বলেন, “শুধু জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর জন্য নকশা আনা হয়নি, ওই এলাকায় এম সবুর খানসহ যার যার কবর আছে, সব কবর সরিয়ে লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন করা হবে ।”
মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের নকশা ভেঙে সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের কবরসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়। মূল নকশা পাওয়ার পর সেগুলো সরানো হবে বলে জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
মূল নকশা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসার পরদিন শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা মনে করি, এটা সরকারের একটা নীল নকশার ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামকে মুছে ফেলা- এটাই মূল উদ্দেশ্য।”
জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে সরকার মুছে ফেলতে চায় না। কারণ, ইতিহাসে জিয়াউর রহমান খলনায়ক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।”
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সাংবাদিক অধিকার ফোরামে’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তা ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার দুনীর্তির মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকাশ্য আদালতে বিচার হচ্ছে। এই মামলায় যে রায় হয় আমরা তা মেনে নেব।”
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের ক্লান্তিকালে সাংবাদিকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করে কামরুল বলেন, একটা সময় ছিল, যখন সাংবাদিকদের কলাম রাষ্ট্রীয় সিন্ধান্তে প্রভাব ফেলতো।
“জঙ্গিবাদ,সাম্প্রদায়িতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা না করে উপায় নেই। এজন্য সাংবাদিকের স্যালুট জানাই।”
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পড়ে শোনান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।