বার্তা৭১ ডটকমঃ
এই পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি বোধ হয় সম্পর্ক। সুসম্পর্ক ছাড়া জীবন অচল। সব ধরনের সম্পর্কই গুরুত্বপূর্ণ তবে জীবনসঙ্গীর সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব একটু বেশিই। সংসার জীবনে এবং এই পৃথিবীতে তারাই সবচেয়ে বেশি সুখী যারা তাদের জীবনসঙ্গীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। কিন্তু কীভাবে? চলুন জেনে নেই:
সুসম্পর্ক বজায় রাখার ৭টি মূলমন্ত্র
সন্মান: যার সাথে জীবন পার করতে যাচ্ছেন তাকে সন্মান না করতে পারলে কি তার সাথে থাকতে পারবেন? আপানার সঙ্গী কোনো কিছু বললে বা কিছু করতে চাইলে সেটাকে কখনোই তাচ্ছিল্ল করবেন না। ভালো না লাগলে আলোচনা করুন, অপমান না।
গ্রহণ: আপনার আর আপনার সঙ্গীর চিন্তাভাবনা যে একই রকম হবে সেটা চিন্তা করা সবচেয়ে বড় বোকামি। তাছাড়া আপানার সপ্নে যে মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চেয়েছেন সেরকম মানুষই বাস্তবে আপনার জীবনসঙ্গী হবে সেটা ভেবে রাখাও উচিৎ নয়। যে যেরকম তাকে সেভাবেই গ্রহণ করে নিতে শিখুন।
একে অপরকে জানুন: বছরের পর বছর চলে যায় অথচ অনেকেই তার জীবনসঙ্গীকে ঠিকমতো বুঝে উঠতেই পারেন না। কথা বলুন। একে অপরের সহযোগী হোন।
ইতিবাচক মনোভাব: সেসব দম্পতিরই জীবনে সুসম্পর্ক বজায় থাকে যারা একে অপরের ছোটোখাটো ভুলগুলোকে বড় আকারে যেতে দেয় না। অল্প অল্পতেই ঝগড়া করে না। একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করে।
সমস্যার সমাধান: সাংসারিক জীবনে কলহ বিবাদ থাকতেই পারে। যে কারণে ঝামেলা হচ্ছে সেটা দুজনে বসে সমাধান করে নিতে হবে। সমাধান না করা হলে পরে এই সমস্যাই বড় আকারে ফিরে আসে। তবে সমস্যা সমধানের জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের সাহায্য না নেয়াই শ্রেয়।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ: ভালোবাসা যেখানে আছে সেখানে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ থাকাটাও জরুরি। আপনার মনের কথা অন্য কেউই বুঝতে পারবে না। আপনাকেই জানাতে হবে। আপনাকে ভালোবাসে বলে সারা জীবন আপনারই থাকবে এটা ভেবে অবহেলা করবেন না। একে অপরের প্রয়োজন বুঝুন এবং মেটাতে সহায়তা করুন।
দৈহিক সম্পর্ক: সংসার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো শারীরিক সম্পর্ক। কাজের চাপে এবং বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে অনেকেই নিয়মিত যৌনসঙ্গম করতে পারে না। এতে সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে।